
বর্তমানে শিশুরা (baby) ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। চিকিৎসাশাস্ত্র এটাকে কীভাবে দেখছে? আজ আমরা এমন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানব।
বর্তমান সময়ে করোনার জন্য ঘরবন্দি শিশুরা (baby) ।আর এই সময় আমাদের যে ঘরবন্দি শিশুরা আছে, আমরা নানা কারণে আমাদের শিশুদের মধ্যে একটা প্রবণতা খেয়াল করছি। সেই প্রবণতাগুলো হচ্ছে, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি তাদের এক ধরনের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি।
আর ও পড়ুন কাবুল বিমানবন্দরের (Kabul Airport) বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালো
আমরা জানি, ইন্টারনেট আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এর উপকারিতা আছে, অপকারিতা আছে। আমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে এটাই, উপকার যেটুকু আছে সেটাকে অবশ্যই নেব। পাশাপাশি এর অপপ্রয়োগকে অবশ্যই প্রতিহত করব।
বর্তমান সময়ে আমরা দেখছি আমাদের শিশু (baby) -কিশোরেরা, তরুণ-তরুণীরা এ সমস্ত ডিভাইস—যেমন, আমরা মুঠোফোনের কথা বলি, আমাদের ট্যাব আছে, আমাদের ডেস্কটপ—এ সমস্ত ডিভাইসগুলোতে অনেক সময় কাটাচ্ছি। তো এই সময় কাটাতে গিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এ পরিবর্তন নিয়ে বাবা-মা থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞানীদের মনে একটা বিশাল চিন্তাভাবনার ঝড় চলেছে। এ বিষয়টাকে বর্তমানে বলা হয়েছে ইন্টারনেট আসক্তি এবং এই আসক্তি মাদকাসক্তির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
এবিষয় একটি গবেষণা করে দেখা গেছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর ওপর এর প্রভাব বেশি। এ গবেষণায় দেখতে পাওয়া যায়, প্রায় শতকরা ৩০ জন শিশু-কিশোর-তরুণ এই আসক্তির শিকার। তো আমরা কখন বলব, আমাদের শিশুটি ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছে?
আমরা এটাকে ডিফাইন করেছি এ ভাবে, যখন দেখা যায় আমাদের কোনও শিশু (baby) এ সব ডিভাইসে সময় কাটাচ্ছে এবং দিনকে দিন সময়টা বেড়েই চলেছে এবং কোনও কারণে যদি দেখা হয়, কোনও কারণে সে এটা ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে তার মধ্যে একটা বিরূপ আচরণ হয়। সে একটু খিটমিটে হয়ে যায়, সে বদমেজাজি হয়ে যায় এবং হতাশায় ভোগে। তো এ বিষয়গুলো যখন কোনও শিশুকে অবজার্ব করব, তখনই আমরা তাকে বলছি ইন্টারনেটে আসক্ত।