নুসরত জাহানের হয়ে এবার মুখ খুললেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)

নুসরত জাহানের হয়ে এবার মুখ খুললেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Taslima Nasrin
নুসরত জাহানের হয়ে এবার মুখ খুললেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

সাংসদ, তারকা নুসরত জাহানের হয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) । নুসরতের এখন  নতুন পরিচয় মা। কলকাতার  পার্কস্ট্রিটের এক বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম দিয়েছেন পুত্র সন্তানের। পিতৃপরিচয় লুকিয়ে রেখেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। এতকিছুর মাঝেই নিজের মতামত জানালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

 

ফেসবুক পোস্টে তাঁর বার্তা, সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে পারবেন নুসরত। সেই বিশ্বাস তাঁর রয়েছে। কথোপকথনের ভঙ্গিতে নিজের মত তুললে ধরেছেন লেখিকা। যেখানে তিনি লেখেন, ‘উইশ টুইশে কিছু হয় না। দোয়া, আশীর্বাদ এগুলো কথার সৌন্দর্য। নুসরত প্রতিষ্ঠিত মেয়ে। কারও দাসীবাঁদি নন। নিজের ইচ্ছের মূল্য দিতে জানে। সে তাঁর সন্তানকে ভালো মানুষ করবে, এ আমার বিশ্বাস।’

 

এই প্রসঙ্গেই কথোপকথনের এক জায়গায় তসলিমা (Taslima Nasrin) লেখেন, ‘মেয়েরা তো সামাজিকভাবে দাসীবাঁদি হয়ে আছে। তবে টিকে থাকার বেলায় মেয়েরা এগিয়ে আছে।’ বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নিজের জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বিয়ে করার বা মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না মেয়েরা। সেটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত ইচ্ছে। কিন্তু নুসরত নিজে মা হতে চেয়েছেন। কটাক্ষ,নিন্দা, সমালোচনার পরও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াননি, সেকথাই ফুটে উঠেছে লেখিকার ফেসবুক পোস্টে।

 

আর ও পড়ুন    ত্রিপুরায় (Tripura) কি ভাঙনের মুখে বিজেপি?

 

‘বাচ্চা মানুষ করতে গিয়ে অনেকের জীবন নাশ হয়ে যায়। বাচ্চা তো যে কেউ হওয়াতে পারে, মানুষ করতে ক’জন পারে! মানুষ করতে পারলে কুলাঙ্গারে দুনিয়া এত ভরা থাকতো না।’, লিখেছেন তসলিমা। কেরিয়ারের তুঙ্গে পিতৃ পরিচয় লুকিয়ে মা হওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেছেন তসলিমা।

 

এর আগেও নুসরতের বিবাহ বিচ্ছেদ এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রটে যাওয়ার পর নুসরতের সমর্থনে ফেসবুকে লিখেছেন তসলিমা (Taslima Nasrin)। লিখেছিলেন, ‘স্বনির্ভর এবং সচেতন হলে, আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান যথেষ্ট থাকলে নিজের সন্তানের অভিভাবক নিজেই হওয়া যায়। নিজের সন্তানকে নিজের পরিচয়েই বড় করা যায়। পুরুষের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।’

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top