কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশ বিক্রির পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ( Mamata ) বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শনিবার তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে জোর দিতে হবে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যৎ। বিজেপি পড়ুয়াদের কণ্ঠরোধ করছে।’কয়লা দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে (মমতার ভাইপো) তলব করেছে কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এর সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘রাজনীতিতে না পেরে এখন এজেন্সি লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।’
আর ও পড়ুন মার্কিন ড্রোন হানায় ( US drone strikes ) খতম ইসলামিক স্টেট -এর কুখ্যাত জঙ্গি
তিনি বলেন, ‘বাংলা পথ দেখাক। টিএমসি (তার দল তৃণমূল) সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক। সারা দেশে যোগাযোগ গড়ে তুলুক। মমতা বলেন, ‘এই বিজেপি সরকার দানবিক, অমানবিক। এই সরকার মানুষকে ভালবাসে না। পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করে। সারা দেশ বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। দেশের সব সম্পদ বিক্রি করে দেবে।’
তিনি ( Mamata ) বলেন, ‘বিমা, কয়লা, রেলস্টেশন বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর জনগণকে হয়তো বলবে দেহাংশ বিক্রি করে দাও। ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কয়লা বিক্রির জন্য শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা কেন্দ্রের মন্ত্রণালয়। আমি বলে দিতে পারি অন্তত এক ডজন মন্ত্রী আসানসোলকে লুঠে খেয়েছে। ভোটের সময় তারা এসে কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে উঠেছিল।’
তিনি ( Mamata ) বলেন, ‘বিজেপি-র অনেক নেতা-মন্ত্রী মহিলা কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। আমি কিছু করিনি। রাজনৈতিকভাবে লড়ো অভিষেক, বক্সি, কাকলি, জহর সরকার, কল্যাণ, সিদ্দিকুল্লা, বীরবাহা হাঁসদা বা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে।’
মমতা বলেন, ‘পকেটে একটা নেংটি ইঁদুর ঢুকিয়ে রেখেছো। ওটা তোমার নিজের পকেটই কেটে দেবে। ইডি একটা কাগজ পাঠাবে, আমি বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি কখনও দেখিনি। আমরা এমন রাজনীতি করি না। তোমার দলের বিরুদ্ধে কতটা পদক্ষেপ করেছ? উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়েছ?
তিনি বলেন, ‘সিবিআই-তে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপি নেতাকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে কেন যাবে? মানবাধিকার কমিশন কি শুধু বাংলার জন্য? ত্রিপুরার জন্য নয়? ওখানে রোজ মারছে আমাদের কর্মীদের।’
মমতা বলেন, ‘সব কমিশনকে রাজনৈতিক করে দিয়েছে। প্রত্যেকে বিজেপি-র সদস্য। অভিষেকের সঙ্গে পারলে রাজনীতির লড়াই লড়ো।’ তিনি বলেন, ‘ওরা শুধু মিথ্যেই বলতে জানে। তাই বলছি, জোট বাঁধুন, তৈরি হোন।’