
কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য মনোনীত মালদহের ( Maldah ) আলিশা,পাড়ি দিচ্ছেন ইংল্যান্ডে।মালদহ ( Maldah ) জেলার নাম গোটা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে চলেছেন আলিশা ইবকার। কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিতে চলেছে আলিশা।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে মালদহ জেলা কে গোটা বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে চলেছেন তিনি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে।আলিশা ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য মনোনীত হয়েছে। জানা গেছে,প্রতি বছর কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলি থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য ৮০০ জনকে বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে ব্রিটিশ সরকার।
এবার এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে অন্যতম মালদহের আলিশা ইবকার। তাঁর সাফল্যে খুশি গোটা জেলাবাসী। বাড়ি কালিয়াচকের ( Maldah ) নয়াগ্রামে।তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপিকা। ২০১৬ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
বাবা হাজেরুল ইবকার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। মা তানিয়া রহমাত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বোন আলিফিয়া ইবকার কলকাতা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে দিল্লির এক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। দশম শ্রেণি পর্যন্ত ফরাক্কা ডিপিএস-এ পড়াশোনা আলিশার।
আর ও পড়ুন উত্তবঙ্গের ( Northbengal ) ঐতিহ্য টয়ট্রেন উঠছে দাড়িপাল্লায়
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও একের পর এক সাফল্য নজর কাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রী হিসাবে ‘পাপা মিঁয়া পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় আলিশাকে। দেশ ও বিদেশে বক্তা ও লেখিকা হিসেবেও নজর কেড়েছেন তিনি। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সেরা বক্তা হিসেবে সম্মানিত হন আলিশা।
অবশেষে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মতো আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যাত্রা।আলিশা ইবকার জানান, কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপে মনোনীত হয়ে খুশি। এই সম্মান আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।
মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ– বৈষম্য– বিদ্বেষ তৈরি হয় সেগুলির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা ও সমাধানের পথ তৈরি করাই আমার গবেষণার লক্ষ্য।’উচ্চশিক্ষায় আলিশার এই সাফল্য মালদহ জেলার অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা জাগাবে বলে শিক্ষা মহলের ধারণা।