
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীর ( Barrackpore ) উপর হামলার অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ব্যারাকপুরে । এদিন ব্যারাকপুর রেল স্টেশন হনুমান মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে বিধায়ক ও পৌর প্রশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক চলাকালীন সময়ে এই দুষ্কৃতী হামলা হয়।
এই ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়দীপ দাস জানান, ‘বিধায়ককে লক্ষ্য করেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে উপস্থিত বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী এবং তৃণমূল কর্মীরা দুষ্কৃতীদের আটকে দেয়।’
আর ও পড়ুন উত্তবঙ্গের ( Northbengal ) ঐতিহ্য টয়ট্রেন উঠছে দাড়িপাল্লায়
রবিবার ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে থাকা হনুমান মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ( Barrackpore ) , ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাস, ব্যারাকপুর পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য বিদায়ী পৌরপিতা এবং বেশকিছু তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সময় জনা ৩০ জন দুষ্কৃতী হঠাৎই সেখানে এসে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনা চোখে পড়তেই সেখানে আসেন আসেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক ও পৌর প্রশাসক।
অভিযোগ, তখন রাজ চক্রবর্তীর ( Barrackpore ) উপরও হামলা চালানোর চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে। দুষ্কৃতীদের হাতে সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সাথে সাথেই উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা এবং বিধায়ক ও প্রশাসকের নিরাপত্তাকর্মীরা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ব্যারাকপুর রেলস্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফ এবং টিটাগড় থানার পুলিশ। সেই ধস্তাধস্তিতে জখম হন ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।
জখমদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার পর দ্রুত দুষ্কৃতীদের তুলে দেওয়া হয় টিটাগর থানার পুলিশের হাতে। পরবর্তী সময়ে টিটাগড় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় উপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।