চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চরম হয়রানির শিকার রোগীরা ( Patients )

চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চরম হয়রানির শিকার রোগীরা ( Patients )

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Patients
চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চরম হয়রানির শিকার রোগীরা ( Patients )
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

অ্যানাসস্থিসিস স্পেশালিষ্টের অভাবে দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ গ্রামীণ হাসপাতালে ( Patients ) প্রসূতির সিজারের পাশাপাশি জরুরি অপারেশনও,চরম হয়রানির শিকার প্রসূতি মহিলা থেকে অন্যান্য রোগীরা ( Patients ) ,এমনই হয়রানির ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের।

 

জেলার মধ্যে বহু পুরানো,রোগী পরিষেবা ও পরিকাঠামোর দিক দিয়ে একসময় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে একাধিক স্বীকৃতি ও পুরষ্কার পাওয়া চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বর্তমানে এমনই দুর্দশা।

 

যেখানে বর্তমানে চন্দ্রকোনা ছাড়াও গড়বেতা ও পাশের কেশপুর ব্লকের বহু গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবায় ভিড় জমায় ৬০ টি বেড সংখ্যা বিশিষ্ট চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।জানাযায়,আগের তুলনায় হাসপাতালে প্রসূতি মহিলাদের চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে,কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে জরুরি প্রয়োজনে প্রসূতিদের সিজার বা অন্য কোনও অপারেশনের প্রয়োজন পড়লে সেই পরিষেবা ব্যাহত হয় এবং চরম হয়রানিতে পড়তে হয় রোগী ( Patients ) ও তার পরিজনদের।

 

আর ও পড়ুন    আজ আর মুক্তি নয়, ‘লকআপে’ ( Lockup ) থাকবে পরিমনি

 

হাসপাতালে প্রসূতিদের জরুরি ভিত্তিতে সিজার বা কোনও জরুরি অপারেশনে অতিঅবশ্যই প্রয়োজন একজন অ্যানাসস্থিসিস্ট।কিন্তু গত প্রায় দুবছর আগে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে একজন অ্যানাসস্থিসিষ্ট থাকলেও,তিনি স্থানান্তরিত হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় আপাতত বন্ধ সিজার ও সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও আটকে জরুরি অপারেশন।এইসমস্ত রোগীদের ৪০ কিমি দূরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল অথবা ২৪ কিমি দূরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দিতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসককে।

 

গত দু’বছর আগে এইসমস্ত পরিষেবা ঠিক থাকলেও বর্তমানে বন্ধ থাকায় চরম ঝুঁকির ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রসূতি রোগী থেকে জরুরি অপারেশনের রোগীদের।আগের মতো হাসপাতালের এইসব পরিষেবা পুনরায় সচল হোক দাবি হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

 

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বর্তমানে হাসপাতালের বিএমওএইচ ও একমাত্র প্রসূতি চিকিৎসক ডঃ গৌতম প্রতিহার বলেন,প্রায় দু’বছর বন্ধ এই পরিষেবা,জেলায় বলা হয়েছে আশাকরি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

 

এখন প্রসূতিদের সিজারের প্রয়োজন হলে ঘাটাল কিংবা মেদিনীপুর রেফার করে দেওয়া হয় বলে মানছেন খোদ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ গৌতম প্রতিহারও।শুধু প্রসূতি রোগীদের সমস্যার কথাই নই এতো বড় একটি গ্রামীণ হাসপাতালে অভাব অন্যান্য চিকিৎসকেরও।বর্তমানে একজন বিএমওএইচ,২ জন জেনারেল ফিজিশিয়ান সহ মোট ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।

 

খোদ বিএমওএইচ ডঃ গৌতম প্রতিহার নিজে হাসপাতালের একমাত্র প্রসূতি চিকিৎসক,তিনিও কিছুদিন বাদেই অবসর নেবেন কাজ থেকে এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।ফলে এখনই হাসপাতালের দিকে জেলা বা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর নজর না দিলে অ্যানাসস্থিসিষ্টের পাশাপাশি প্রসূতি চিকিৎসকের অভাবেও আগামী দিনে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা প্রসূতি মহিলাদের চিকিৎসাও।দ্রুত হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা সচল সঠিক রাখতে খালি পদ পুরন করুক স্বাস্থ্য দপ্তর দাবি স্থানীয় থেকে রোগী ও তার পরিজনদের।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top