
পুজোর ( Pujo ) আগেই দ্রুততার সঙ্গে যাতে জরুরি কাজগুলো সম্পূর্ণ করা যায় সেই চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার বালিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর পুরনিগমের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, হাওড়া পুরনিগমের অন্তর্গত সমস্ত বিধানসভাগুলোতেই পৌঁছে গিয়ে সেখানকার সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
বালিতেও সেটাই করা হয়েছে। এখানকার সব প্রাক্তন কাউন্সিলররাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁদের ওয়ার্ডের সমস্যার কথা আমাদের জানিয়েছেন। সেগুলো আমরা নথিবদ্ধ করেছি। পুজোর ( Pujo ) আগেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন কোন কাজগুলো করা দরকার সেগুলো আলোচনা করে স্থির করা হবে। পুজোর ( Pujo ) আগেই দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ যাতে সম্পূর্ণ করা যায় সেই চেষ্টা করা হবে।
আর ও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুসারে চলতি মাসেই দুয়ারে রেশন ( Ration ) চালু হচ্ছে
জমা জলের সমস্যা এখানেও অনেক জায়গায় রয়েছে। সেই সমস্যা আমরা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছি। পুরনিগম এলাকার দাশনগর কাশীপুর অঞ্চলে জমা জল আমরা অনেকটা নামাতে পেরেছি। এখানেও আমরা সেইভাবেই চেষ্টা করব যাতে জলমগ্ন পরিস্থিতি না হয়।
পুজোর আগে সাময়িকভাবে সেই চেষ্টা করা হবে। সেপ্টেম্বর থেকেই ডিসেলটিং এবং ড্রেনেজ ওয়ার্কের কাজ শুরু করছি। যেখানে জল নামছে না সেখানে মোবাইল ভ্যান নিয়ে গিয়ে জল সাকশান করে পাম্পে করে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বসেও আলোচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,
হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথমবার বালিতে এসে ওই বৈঠক করেন চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। হাওড়া পুরসভার বালি অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ওই সভায় বিধায়ক, বিদায়ী কাউন্সিলররা সহ পুরনিগমের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত পরিষেবা, দুয়ারে সরকার সহ নানা উন্নয়নমূলক বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়। তবে হাওড়া থেকে পৃথক করে বালিকে স্বতন্ত্র পুরসভা হিসেবে কাজ শুরু করার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। আপাতত বালির সব এলাকা হাওড়া পুরনিগমের মধ্যেই থাকছে। এবং পুরনিগমের সব পরিষেবা এখন যেমন মিলছে তাই অব্যাহত থাকবে বলেও সুজয়বাবু আশ্বাস দেন।