
হাসপাতালে ভর্তি সায়রা বানু ( Saira Banu )। হৃদরোগে আক্রান্ত হন সায়রা বানু। মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি দিলীপ–জায়া সায়রা বানুকে স্থানান্তর করা হল আইসিইউতে পরিবার সূত্রে খবর, তিন দিন আগেই রক্তচাপজনিত সমস্যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সায়রা বানুকে ( Saira Banu )। বুধবার তাঁকে আইসিইউ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এ বছরের জুলাইতে ৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন দিলীপ কুমার। এর দু’মাস পরই হাসপাতালে ভর্তি হলেন সায়রা বানু ( Saira Banu )।
দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সায়রা বানু সিনেমা জগত ছেড়ে সংসার ও স্বামী দিলীপ কুমারের ওপরই মনোনিবেশ করেছিলেন। দিলীপ কুমারের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সায়রা বানুই অভিনেতার দেখাশোনা করতেন। ৫৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর দিলীপ কুমার যখন সায়রা বানুর হাত ছেড়ে পরলোকে চলে যান, সেই সময় অসম্ভব ভেঙে পড়েছিলেন সায়রা বানু। এরপরই তাঁর শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীর ভালো ছিল না।
এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কের সময় অনেক বাধা–বিপত্তি আসলেও অবশেষে তাঁরা এক হয়ে একসঙ্গে সংসার করেছেন। চিকিৎসকদের কাছে দিলীপ কুমারের মৃত্যুর খবর শুনে সায়রা বানু বলে উঠেছিলেন, ‘ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল… সাহাবকে ছাড়া তো আমার জীবন অর্থহীন, আমি কিছু ভাবতেই পারছি না… দয়া করে সকলে প্রার্থনা করুন’। দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পরই সায়রা বানু শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, যার প্রভাব দেখা দিয়েছে তাঁর শরীরে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সায়রা বানু অভিনয় জগতে পা দিয়েছিলেন। ১৯৬০ সালে বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্লাফমাস্টার, আয়ি মিলন কি বেলা, এপ্রিল ফুল, গোপী, ঝুক গয়া আসমান, আমান, দিওয়ানা, ভিক্টোরিয়া নম্বর ২০৩, পড়োসন সহ আরও বেশ কিছু ছবি রয়েছে। ১৬ বছরের সায়রা ফিল্ম জগতে আসার সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন পড়ে যায়। গোলাপের পাপড়ির মতো মিষ্টি মেয়ে সায়রার সৌন্দর্যে কাবু ছিল গোটা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। ২২ বছরের সায়রা যখন তাঁর থেকে ২২ বছরের বড় ৪৪ বছরের দিলীপ কুমারকে বিয়ে করেন তখন এই সম্পর্ক নিয়ে বহু সমালোচনা হয়েছিল।