পরীমনির বাড়ি ছাড়ার নোটিশে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে তসলিমার ( Taslima )

পরীমনির বাড়ি ছাড়ার নোটিশে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে তসলিমার ( Taslima )

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
Taslima
পরীমনির বাড়ি ছাড়ার নোটিশে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে তসলিমার ( Taslima )
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

 

প্রায় এক মাস কারাগারে থেকে বাড়ি ফিরলেন ঢাকাই চলচিত্রের আলোচিত ( Taslima ) নায়িকা পরিমনি।আর বাড়ি ফিরেই বড়  ধাক্কা খেলেন পরীমনি। জানতে পারলেন, বনানীর বাড়ি তাকে ছেড়ে দিতে হবে। বাড়িটি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন ফ্ল্যাট মালিক। বুধবার বিকালে একটি সংবাদমাধ্যমকে পরীমনি বলেন, কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেলাম। এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তাই কি হচ্ছে? আমি কি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব?

 

আলোচিত এ নায়িকা বলেন,  আমি তো একা থাকি না। ( Taslima ) আমার বয়স্ক দাদুভাই আছেন। হঠাৎ করে এসব কী! হঠাৎ করে কই যাব, সেটা কি কেউ বলতে পারেন?  ঢাকাই ছবির এ চিত্রনায়িকা বলেন, এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাড়ি খুঁজে দেবে? তিনি জানান, চার দিন আগে তাকে এই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বাড়ি ফিরে জানতে পারেন তিনি।

 

আর ও   পড়ুন    প্রয়াত হলেন কাশ্মীরের ( Kashmir ) বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবীণ নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি

 

 আর পরীমনির এই অবস্থা দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে লেখিকা তসলিমা ( Taslima ) নাসরিনের । তাঁর কথায়, “এরকম আমিও বলেছিলাম সেদিন! পরীমণির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি।” পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার পরে সরব হয়েছিলেন তসলিমা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ফের নিজের ফেসবুকে অভিনেত্রীর হয়ে লিখলেন তিনি।  এক সময়ে তাঁকেও দেশ ছাড়তে হয়েছিল। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও সরে যেতে বলা হয় তাঁকে। কলকাতার রওডন স্ট্রিটের বাড়ি থেকেও বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।

 

ছাড়তে হয়েছিল এই রাজ্যও। পরীমনিকে দেখে সেই সব স্মৃতিই যেন ফের জেগে উঠেছে তাঁর। তাই তসলিমা লিখছেন, “পরীমণি জেল থেকে বেরোলো, বাড়িতে ঢুকলো আর দেখলো তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এই ভয়ংকর দুঃসময়কে আমি খুব ভালো জানি, যেহেতু নিজের জীবনেই ঘটেছে এমন ঘটনা। মনে পড়ছে কলকাতার সেই দিনগুলোর কথা। ৭ নম্বর রওডন স্ট্রিটে ডাক্তার দেবল সেনের বাড়িতে আমি তখন ভাড়া থাকি।

 

২০০৭ সাল। পুলিশ কমিশনার এসে জানিয়ে যাচ্ছেন আমাকে দেশ ছাড়তে বলছেন মূখ্যমন্ত্রী, দেশ যদি আপাতত না-ও ছাড়ি, রাজ্য আমাকে আজ বা কালের মধ্যেই ছাড়তে হবে। দেশের দরজা বহুকাল বন্ধ। ইউরোপ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রাণের টানে আর ভাষার টানে আশ্রয় নিলাম, আর আমাকে কিনা এই আশ্রয়টিও ছাড়তে হবে, কোথাও তো আর ঘর বাড়ি নেই আমার, যাবো কোথায়!”

 

সেই সময়টা লেখিকার কাছে কতটা কঠিন হয়ে উঠেছিল তাও লিখেছেন তিনি। শুধু রাজনীতি নয়। এমনকি বন্ধু মহলও সেই সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top