
এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হলেন মুকুল ( Mukul ) রায়। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে খবর।
এই মুহূর্তে তাঁকে রাখা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে। তাঁকে পরীক্ষা করে দেখতে ৫ চিকিৎসকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ঠিক কী অসুবিধা হচ্ছে কৃষ্ণনগরের বিধায়কের ( Mukul ), তা অবশ্য জানা যায়নি।
কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপির টিকিটে জিতলেও রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল সরকার আসার পরই দলবদল করে ঘরে ফেরেন মুকুল ( Mukul )। সপুত্র যোগ দেন তৃণমূলে। এরপরই দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ইতিমধ্যেই শুনানি হয়েছে একাধিক বার। সেখানে দুবার উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু নিজেও। যদিও মুকুল রায়কেও তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি এখনও যাননি।
এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবারই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পিএসি বৈঠকেও হাজির হচ্ছেন না তিনি।
তার মানে এটাই, খরচ আমরা করব, হিসেবও আমরা রাখব, এটাই আসলে কাটমানি খ্যাত তৃণমূলের নীতি।’ যদিও শুভেন্দু দাবি করেছেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য যতদূর যেতে হয়, তিনি যাবেন। শুভেন্দুর সেই আক্রমণের ২৪ ঘণ্টার আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হলেন মুকুল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগস্টের প্রথম সপ্তাহে কৃষ্ণনগরে প্রকাশ্যে মুকুল রায় মন্তব্য করেন, কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচন হলে তৃণমূল সেখানে পর্যুদস্ত হবে। সেখানে বিজেপি’ই স্বমহিমায় ফিরে আসবে। যদিও একটু পরেই তিনি বলেন, ‘এটা বলা ঠিক হয়নি’। তৃণমূলের একাংশ অবশ্য তখনই দাবি করেছিল, অসুস্থতার কারণেই এমন অসংলগ্ন বক্তব্য মুকুল রায়ের।
এমনকী মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুও বাবার অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন। এরপরে বিধানসভায় এসেও মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, তিনি এখনও পর্যন্ত বিজেপি-রই বিধায়ক। সেই বক্তব্য নিয়েও ‘অসুস্থতা’ জল্পনা তৈরি হয়। যদিও শুভেন্দু দাবি করেছেন, পুরোটাই নাটক। তবে, এদিন মুকুল এসএসকেএম-এ ভর্তি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।