ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তিকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন তৃণমূলের স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে হবে উপনির্বাচন।
ইতিমধ্যেই ভবানীপুরের অলিগলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের প্রচার। মমতা ব্যানার্জির সমর্থনে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছেন মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমরা। ‘ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চায়’ ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা।
দেওয়ালে লেখা হচ্ছে ‘খেলা হবে’। ‘দিদি’-কে জেতাতে ভবানীপুরে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের। কোভিড আবহে প্রচার পর্বে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে নির্বাচনের কমিশনের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনওরকম কোভিডবিধি ভাঙা হলে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীকে আর প্রচার করতে দেওয়া হবে না। ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারের কাজ থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের। পাশাপাশি এক ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা যাতে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার না করেন সে ব্যাপারেও কড়া নজর রাখছে দল। মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারে আসতে চাইছিলেন জেলার একাধিক নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দলের তরফে জেলার নেতা-কর্মীদের আসতে বারণ করা হচ্ছে।
আর ও পড়ুন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরীমনি, দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন শেখ হাসিনার ( Hasina )
উল্লেখ্য, দলের তরফে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখার্জিকে। ৮২, ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে মমতা ব্যানার্জির ভাই কার্তিক ব্যানার্জি।
তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জি বলেন, ‘২০১১ সালে দিদি’-কে ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির জয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে গিয়েছিল। এ বারের উপনির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে প্রথমবারের থেকেও যাতে বেশি ভোটে জেতানো যায় সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করছি।’ শুরু হয়েছে সেইমতো প্রস্তুতিও।