শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়? শারীরিক সম্পর্ক আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে স্ট্রেস কমে এবং আরেকজন মানুষের সাথে আমাদের অনুভূতির আদানপ্রদান হয়। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে, মাথাব্যথা দূর হয় এবং বিষণ্ণতার উপসর্গগুলো দূর হয়।
কিন্তু লম্বা সময়ের দাম্পত্যে অনেক সময়েই দুজন বা একজনের মাঝে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি অনীহা দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শারীরিক সম্পর্কে ভাটা পড়ে। তখন কি শরীরের কোনো ক্ষতি হয়? হ্যাঁ, শারীরিক সম্পর্ক কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে হুট করে আপনার ওজন বেড়ে যাবে না, বা হৃদরোগ দেখা দেবে না। কিন্তু কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন :
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন : সারি কুপারের মতে, শারীরিক সম্পর্কের সময়ে দুজন মানুষের মাঝে যে অন্তরঙ্গতা থাকে, তা একে অপরের মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে আমাদের শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং তা আমাদের মন ভালো করে। শারীরিক সম্পর্কের অভাবে তাই মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। তবে তারমানে এই নয় যে গুরুতর কোনো মানসিক সমস্যা হবে।
আর ও পড়ুন দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুখবর দিলেন এই আন্তর্জাতিক তারকা
সহজেই স্ট্রেসড হয়ে যেতে পারেন আপনি : শারীরিক সম্পর্ক স্ট্রেস দূর করতে কার্যকরী। ফলে এর অভাবে আপনি সহজেই স্ট্রেসড হয়ে যেতে পারেন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে তার উল্টোটাও হতে পারে। কিছু নারীর ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক স্ট্রেস বাড়ার কারণ হয়। তাই শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকলে তাদের স্ট্রেস কমতে পারে।
বুদ্ধিমত্তায় পরিবর্তন আসতে পারে : যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ইঁদুরের ওপর করা দুইটি গবেষণায় দেখা যায়, শারীরিক সম্পর্ক মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং কোষের বৃদ্ধি দুটোই বাড়ায়। ফলে শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে পারে। তবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
যৌনাঙ্গের দেয়ালে পরিবর্তন আসতে পারে : এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে সেসব নারীর ক্ষেত্রে যারা প্রায় মেনোপজ হবার বয়সে পৌঁছে গিয়েছেন। এ বয়সে শারীরিক সম্পর্কের অভাবে যৌনাঙ্গের ভেতরের দিকের দেয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে।
ফলে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর আবার শারীরিক সম্পর্কে ফেরত গেলে ব্যথা অনুভুত হতে পারে। শুধু তাই নয়, এ বয়সে শরীরে ইস্ট্রোজেনের অভাব হয় বলে লুব্রিকেশনও কম হয় ফলে শারীরিক সম্পর্ক আগের তুলনায় কঠিন ও কষ্টকর হতে পারে।