প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা যা করলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বদলী আটকাতে স্কুল চত্ত্বরে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের আশুই পল্লীমঙ্গল বিদ্যাপিঠের।
জানা গিয়েছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী ২০১৫ সালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলানোর পর নিজের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোন একটি স্কুলে বদলি হচ্ছেন।আর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওই বদলি মেনে নিতে পারছেন না আশুই স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা।
কারণ কয়েকবছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলানোর সময় তরুন বাবু স্কুলের যেমন প্রভুত উন্নতি করেছেন তেমনি উন্নতি হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের।তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বদলী আটকাতে এদিন ছাত্র এবং অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গেছে।
আর ও পড়ুন কাপড় খুলে দেওয়ার প্রশ্নে নিয়া শর্মা কি বললেন ?
আশুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা যেভাবে আমাকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে রেখে দেওয়ার দাবিতে আমাকে দাবি জানিয়েছে তাতে আমি আপ্লুত এবং গর্বিত। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিএবং ওই এলাকার প্রতিটি মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি এই বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে চাইনি। কিন্তু এখান থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ি । বাড়িতে আমার বয়স্ক মা রয়েছেন। তাই আমি বদলির জন্য আবেদন করেছিলাম এবং আমার বদলির অর্ডার এসেছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে আমাকে ছাড়তে চাইছে না তাতে আমি ওদের দাবি গুলি রাখার চেষ্টা করব ।
আমি বিষয়টি আমার মাকে জানাবো। মা যদি রাজি হয় তাহলে আমি এই বিদ্যালয়ে থেকে যাব । যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বদলি নিয়ে চলছে বিক্ষোভ, আবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিরল ঘটনা ঘটলো ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের পল্লীমঙ্গল হাইস্কুলে ।
যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী কে ছাত্র-ছাত্রী থেকে অবিভাবকরা সেই বিদ্যালয় ছেড়ে যেতে দিতে চাইছে না। অভিভাবকেরা বলেন আমরা অনেক ভাগ্যের ফলে উনাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি। আমরা উনাকে ছেড়ে দিতে চাইছি না। উনি যে কাজ করেছেন ও যেভাবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে নজর দিয়েছেন এর আগে কেউ দেয়নি । তাই আমরা উনার কাছে অনুরোধ করছি উনি যেন আমাদের ছেড়ে না জান।