নিজের বোন সম্পর্কে কী বললেন বুদ্ধদেব পত্নী মীরা ভট্টাচার্য । ডানলপের ফুটপাথে পড়ে থাকা ভবঘুরে বৃদ্ধার ইরা বসুকে নিজের বোন বলে স্বীকার করে এই ইস্যুতে মুখ খুললেন মীরা ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে কার্যত গোটা বাংলাতে ভাইরাল ডানলপের ফুটপাতে উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ানো ইরা বসুর ছবি।
আর তা নিয়েই ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যে কেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকাকে ফুটপাতে থাকতে হবে ? অনেকেই আবার আঙুল তুলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পরিবারের দিকে। আর নিজের বোনকে নিয়ে তৈরী হওয়া একাধিক প্রশ্ন নিয়ে মুখ খুললেন মীরা ভট্টাচার্য।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী। মেনেও নিলেন ফুটপাতবাসী ওই বৃদ্ধা তাঁর নিজের ছোট বোন ইরা। এই প্রসঙ্গে তাঁর বিবৃতি, ‘ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন। অজানা কারণে ফুটপাতে বসবাস করছেন ইরা।
আর ও পড়ুন কালো মুখের দুর্গা পুজো হয় সুন্দরবনের এই গ্রামে
তবে প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষের নিজের মতো বাঁচার এই অধিকার আছে।’ বোনের উপর নিজের সমস্ত ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ” ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন। তিনি অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে।
ওঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। ঠিকানা বিবি ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা। ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন।” যথেষ্ট ক্ষোভও ধরা পড়ে তাঁর কথায়। মীরা দেবী লিখেছেন,” ইরা পরিবারের কারও কথা কোনও দিন শোনেননি।
নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করেছেন। এই আচরণের জন্য উনি পরিবারের সকলকে অসম্মানিত করছেন।” প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ডানলপ মোড়ের ফুটপাথই ঠিকানা ইরা বসুর।
যিনি সম্পর্কে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা। এই খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য পড়ে যায়, নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবারই দুপুরে ফের ডানলপ মোড়ে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠায় পুরসভা।
উল্লেখ্য, তবে প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনও মানুষের নিজের মতো বাঁচার এই অধিকার আছে।’ বোনের উপর নিজের সমস্ত ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ” ইরা স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছে নিয়েছেন। তিনি অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে। ওঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। ঠিকানা বিবি ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা। ওঁর কোনও অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা নেই। উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন।