গুজরাট রাজ্যের ১৭ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন বিজেপি বিধায়ক ভুপেন্দ্র প্যাটেল। সবকিছু ঠিক হয়েছিল রবিবার সন্ধ্যাতেই। অবশেষে সেই মতোই ভারতের গুজরাট রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত বিজেপি বিধায়ক ভূপেন্দ্র প্যাটেল সোমবার শপথ নিলেন।
গুজরাট রাজ্যের সপ্তদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সোমবার গান্ধীনগরে রাজভবনে শপথগ্রহণ করলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। গুজরাট রাজ্যের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এদিকে ভূপেন্দ্র প্যাটেলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বসেছিল চাঁদের হাট।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, গুজরাটের উপ মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল সহ সমস্ত বিজেপি নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তও।
এদিকে শপথ গ্রহণের পর ইতিমধ্যেই অমিত শাহ গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি পেশ করেন ৫৯ বছরের ভূপেন্দ্র। তারপরেই শুরু হয়ে যায় শপথ গ্রহণের তোড়জোড়।
আর ও পড়ুন প্রতি রাতে বিছানায় নগ্ন হয়ে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে পাতিদারদের বিক্ষোভকে প্রশমিত করতেই মাস্টারস্ট্রোক দিতে চেয়েছে বিজেপি। আর সেই কারণেই পাতিদায় সম্প্রদায়েরই প্রভাবশালী নেতা ভূপেনদ্র প্যাটেলকে বেছে নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পাতিদারদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে জোরদার বিক্ষোভ শুরু হয় গোটা রাজ্যজুড়ে। যাতে বিড়ম্বনায় পড়ে শাসক দল বিজেপির। এমতাবস্থায় ভূপেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী করে পাতিদার ভোটকে নিজেদের দিকে টেনে আনার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে রাজনীতি জীবনের শুরুতে আহমেদাবাদ পৌরসভা কর্পোরেশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এমনকী গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও রীতিমতো পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, গুজরাটের ঘাটোলোদিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন আনন্দীবেন প্যাটেল। তিনি ওই আসন ছাড়ার পর বর্তমানে ওই আসন থেকে জিতেই বিধায়ক হয়েছেন ভূপেন্দ্র। তাই পদাধিকারের বিচারে এই আসনের গুরুত্বও গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে গুজরাতে। ২০১৭ সালে সেই আসন থেকে প্রথমবার ভোটে লড়েন ভূপেন্দ্র। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের শশীকান্ত প্যাটেলকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করেন তিনি।