তৃণমূলে যোগের পর প্রথম কী বললেন বাবুল সুপ্রিয় ? শনিবার হঠাৎই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর রবিবার সাংবাদিক করলেন তিনি। বলেন, ‘আমি যদি ফুটবল খেলতাম মোহনবাগানের প্রথম একাদশে যদি সুযোগ না পেতাম, তবে অন্য কোনও ছোট টিম অথবা ইস্টবেঙ্গলে চলে যেতাম। আমি প্রথম একাদশে থাকতে চাই, খেলার সুযোগ না পেয়েই বিজেপি ছেড়েছি।
আমায় প্রথম একাদশে রাখায় মমতা অভিষেককে ধন্যবাদ জানাই। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে আমি সেই সুযোগ ব্যবহার করছি। তৃণমূলের প্রস্তাব সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। তৃণমূলে যোগদানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।’
তিনি বলেন, ‘ট্রোলিং হবে জেনেও আমি দলবদল করেছি। বিজেপি নেতারা এখন আমায় নিয়ে সমালোচনা করবে স্বাভাবিক। শুভেন্দু, তথাগতবাবুরা তাই করেছেন। কিন্তু তথাগতবাবু যদি আমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে কটাক্ষ করেন তাহলেও হত। উনি নিজের দল নিয়ে ভাবুন।
সাংসদ পদ ছাড়া নিয়ে বাবুল এদিন বলেন, ‘স্পিকার চাইলে বুধবারই ইস্তফা দেব।’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘সাত বছর ধরে তৃণমূল স্তরে কাজ করেছি বাংলার জন্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্যও কাজ করেছি। আমার কী দায়িত্ব হবে সেটা মমতাই ঠিক করবেন। আগামী দিনে মানুষ যাঁকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান সেই নামের মধ্যে মমতা ব্যানার্জি রয়েছেন।’
আর ও পড়ুন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও বিয়েতে না যাওয়ায় হলো জরিমানা
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি সবসময় প্লেয়িং ইলেভেনে থাকতে চাই। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই আশ্বাস দিয়েছেন। আমি এই টিমে প্লেয়িং ইলেভেনে খেলব। তাই বড় দল ছেড়ে আমি ছোট দলে এলাম। প্লেয়িং ইলেভেনে থেকে আমি বাংলার জন্য মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে চাই না।
বাবুল বলেন, বিজেপি বিরোধিতা করবেই, বিরোধিতা করাই ওদের কাজ। শুধু ভাষা সংযত রাখতেই আমার কোনও আপত্তি নেই। আর ভবানীপুরে আমার প্রচারের কোনও দরকার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে প্রার্থী সেখানে বাবুল সুপ্রিয়র প্রচারের কি কোনও দরকার আছে। ভবানীপুরে বাবুল-ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির। তাঁকে লড়াকু মহিলা বলেই ব্যাখ্যা করেন বাবুল।
বাবুল বলেন, আমি যখন বিজেপিতে ছিলাম তখন মন দিয়ে কাজ করেছি বিজেপির জন্য। এখন তৃণমূলে এসেছি। তৃণমূলের জন্যই মন দিয়ে কাজ করব। আমি কাজ করতে চাই। বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। প্রথম একাদশে খেলতে চাই সবসময়। তাই তৃণমূল আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে, তা হাতছাড়া করতে চাইনি।