পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কে? অম্বিকা সোনির কাছেই প্রথম প্রস্তাব গেলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তিনি হবেন না। এরপরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম উঠে আসে তার নাম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সুখজিন্দর রান্ধওয়া। সেইসঙ্গে পাঞ্জাবের দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীর নামও ঘোষণা করা হবে শিগগিরই।
জানা গিয়েছে, ৬২ বছরের সুখজিন্দর এখন রাজ্যের কারা এবং সংযোগ রক্ষাকারী মন্ত্রী। তিন বার ডেরা বাবা নানক আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজই পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের সঙ্গে বৈঠক করবেন সুখজিন্দর। সেখানেই হয়তো পাকা হয়ে যাবে শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ।
এদিকে পাঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রান্ধওয়া। জানালেন, তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। তাঁর কথায়, ‘ক্যাপ্টেন সাব হলের আমার বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি সব সময় তাঁকে বাবার মতো দেখেছি। তিনি আমায় ছেলে, ভাইয়ের মতো দেখেছেন। কিছু মতপার্থক্য ছিল, কিন্তু তিনি বিরূপ প্রতিক্রিয়া কখনওই জানাননি।’
তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের প্রথম পছন্দ ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ অম্বিকা সোনি। গতকাল গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তিনি সাফ মানা করে দেন। জানান, আগামী বছর ভোট সে রাজ্যে। তার আগে কোনও শিখেরই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা উচিত। সোনির এই সিদ্ধান্তের পরেই এদিন সকালে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক বাতিল হয়।
আর ও পড়ুন বাসর রাত আনন্দময় করতে পুরুষদের কী করা উচিত ?
কংগ্রেসের হাইকমান্ড চাইছে, পাঞ্জাবে নতুন যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁর দলের অন্দরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন থাকুক। সেজন্য পরিষদীয় বৈঠকে বসার আগে রাজ্যে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলছেন শীর্ষনেতারা। জানার চেষ্টা করছেন মতামত। যাতে অমরিন্দরের মতো নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও ক্ষোভ না দেখান বিধায়করা। অমরিন্দরকে সরাতে চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন পাঞ্জাবের ৫০ জন বিধায়ক। যেখানে রাজ্যে মোটি বিধায়কের সংখ্যা ৮০।
এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট অনুরোধ করেছেন, অমরিন্দর যেন সবার ওপরে দল এবং দেশকেই রাখেন। বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘নিজেদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে আমাদের’। নেপথ্যে অনেকেই সিধুর হাতই দেখছেন। এই সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের দ্সেবন্ইধ লাগে ২০১৭ সাল থেকেই। সিধুকে উপমুখ্যমন্ত্রী করতে অস্বীকার করেন অমরিন্দর।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রান্ধওয়া। জানালেন, তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। তাঁর কথায়, ‘ক্যাপ্টেন সাব হলের আমার বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি সব সময় তাঁকে বাবার মতো দেখেছি। তিনি আমায় ছেলে, ভাইয়ের মতো দেখেছেন। কিছু মতপার্থক্য ছিল, কিন্তু তিনি বিরূপ প্রতিক্রিয়া কখনওই জানাননি।’
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের প্রথম পছন্দ ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ অম্বিকা সোনি। গতকাল গভীর রাতে তাঁর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তিনি সাফ মানা করে দেন। জানান, আগামী বছর ভোট সে রাজ্যে। তার আগে কোনও শিখেরই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা উচিত। সোনির এই সিদ্ধান্তের পরেই এদিন সকালে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক বাতিল হয়।