ফের জট টেলিপাড়ায়! প্রশ্নের মুখে মেগার শ্যুটিং, কেন? টলিপাড়ার শ্যুটিংয়ের জট যেন কেটেও কাটছে না। ফের প্রশ্নের মুখের বাংলা টেলিভিশনের শ্যুটিং । আবার শুরু হল ফেডারেশন ও প্রোডিউসার্স গিল্ডের তরজা ফের প্রকট আকার নিতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, নিয়ম না মেনে শ্যুটিং, মউ সাক্ষর এই সমস্ত কিছু নিয়ে সমস্যা কিছুটা মেটার পর এবারে দুই সংগঠনের মতবিরোধ,পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, রাতে কাজ বন্ধ রাখা সহ আরও একাধিক কারণ নিয়ে। সমস্যার সমাধানে, আগামী শনিবার অন্তর্বর্তী বৈঠকে বসবে ফেডারেশন।
বৈঠকের পর সিদ্ধান্তে আসা হবে যে, স্বাভাবিক ভাবেই চলবে নাকি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে টেলি পাড়ার শ্যুটিং।ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, “আমাদের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি।
তবে কলা-কুশলিদের কী কী দাবি ছিল সেগুলো আমরা সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবো, এই মুহূর্তে বিষয়টি আলোচনার পর্যায় রয়েছে, তাই বিস্তারিত জানাতে পারছি না।” তিনি বলেন, “এই নিয়ে আগামী শনিবার ফেডারেশনের বর্ধিত নির্বাহী কমিটির মিটিং রয়েছে। সেখানেই সমস্ত কিছু আলোচনা হবে। তবে জুলাই, অগাস্ট কেটে সেপ্টেম্বর শেষের পথে তাও মউ স্বাক্ষর হল না। মূল সমস্যাটা মউ স্বাক্ষর নিয়েই।”
লকডাউনের সময় ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ ঘিরে চলেছে নানা টানাপোড়েন, অশান্তি। সেই সময় ধারাবাহিকের প্রযোজকদের দেওয়া, কলা-কুশলীদের পাঠানো অর্থ ফিরিয়ে দিতে বলা হয় ফেডারেশনের তরফে। তারা দাবি করেন, কাজ না করে কোনও কর্মী পারিশ্রমিক নেবে না। সেই কথা মতো ঠিক হয়েছিল, প্রতি মাসে কলা-কুশলীদের পারিশ্রমিক থেকে নির্দিষ্ট অংশ কেটে নেওয়া হবে।
আর ও পড়ুন কোন সময়ে সেক্স করা আদৌ ঠিক নয়
আর সেই কাজ বাস্তবায়িত করতেই শুরু হয় বিপত্তি। অসন্তোষ দেখা দেয় কলা-কুশলীদের অনেকের মধ্যেই। প্রসঙ্গত, টেলিপাড়ার শ্যুটিংয়ের সমস্যা কিছুতেই কাটছিল না। কার্যত লকডাউনের বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের প্রতিনিধিত্বে ফেডারেশন, আর্টিস্ট ফোরাম এবং প্রোডিউসার্স গিল্ডের মিলিত বৈঠক হয়। সেখানে পুনরায় শ্যুটিং চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সেই সময় নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়, ফেডারেশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর। নতুন সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পুরনো ধারাবাহিকের কাজ চালু থাকলেও যতক্ষণ না মউ স্বাক্ষরিত হচ্ছে, ততক্ষণ নতুন ধারাবাহিকের কাজ বন্ধ থাকবে। আর এরপরই ফের নতুন করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রযোজক মহল থেকে শিল্পীরা।
এরপর প্রযোজক মহলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে নিজেদের মধ্যে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেন সকলে। শুরু হয় স্থগিত থাকা নতুন ধারাবাহিকগুলির শ্যুটিং। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২০ জুলাইয়ের মধ্যে নয়া গাইডলাইন তৈরি হয়ে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত ভাবে তা কার্যকর করা হবে।
শোনা যাচ্ছিল গত তিন বছর ধরে মউ স্বাক্ষর আটকে রয়েছে এবং স্বাক্ষরে থাকা অনেক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল ফেডারেশন ও প্রোডিউসার্স গিল্ডের মধ্যে। তবে যতদিন না নতুন গাইডলাইন আসছিল, পুরনো মউ -র নিয়মবিধি মেনেই টলিপাড়ায় শ্যুটিং চলছিল। ফের নতুন সমস্যা তৈরি হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে টলি পাড়ার সকলের।