বাংলার পর মমতা ( senior ) ব্যানার্জির পাখির চোখ ত্রিপুরা, আর নতুন করে বলতে হয় না। এর পর অসমেও থেমেছে গাড়ি। কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। আসল গন্তব্য যে দিল্লি, তা এক প্রকার স্পষ্ট। কিন্তু প্রশ্নটা উঠছে, যে ঠিক কোন পথে দিল্লি যাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর গাড়ি? শুধুই পূর্বাঞ্চল হয়ে! নাহ্, পশ্চিমেও যে থামবে গাড়ি, আজ স্পষ্ট। কংগ্রেসের সঙ্গে ৪০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করলেন প্রবীণ নেতা লুইজিনহো ফালেইরো। তার আগে বিস্তর প্রশংসা করলেন মমতার।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
কংগ্রেস ছাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল লুইজিনহোকে। জবাবে তিনি শুধুই মমতার প্রশংসা করে গেলেন। বললেন, ‘নরেন্দ্র মোদিকে কঠোর লড়াইয়ে মুখে দাঁড় করিয়েছিলেন মমতা। মমতার ফর্মুলা বাংলায় জিতেছে।’ তাহলে সত্যিই কি কংগ্রেস ছাড়ছেন? লুইজিয়ানহো বললেন, আরও বৃহত্তর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘আমি কিছু জনের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা বললেন আমি ৪০ বছর ধরে একজন কংগ্রেসম্যান। আমি কংগ্রেস পরিবারের কংগ্রেসম্যান হয়েই থাকব। চার কংগ্রেসের মধ্যে মোদিকে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে মমতাই। বাংলায় প্রধানমন্ত্রী ২০০ সভা করেছেন। অমিত শাহ ২৫০ সভা করেছেন। ইডি, সিবিআই সবই ছিল। জিতেছে মমতার ফর্মুলা।’
প্রবীণ এই রাজনীতিক মমতাকে ( senior ) ‘স্ট্রিটফাইটার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বললেন, বিজেপি-কে ঠএকাতে এ রকমই লড়াকু নেতার প্রয়োজন। লুইজিনহো মুখে একবারও বলেননি তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তবে দুইয়ে দুইয়ে চার করা খুব কঠিন নয়। হঠাত্ই এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে টুইটারে ফলো করা শুরু করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেরেক এবং তৃণমূলের আর এক সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গোয়ায়। মনে করা হচ্ছে লুইজিনহোর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি গোয়ায়।
২০১৯ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচলে এই লুইজিনহোই সে রাজ্যে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাই তাঁর থেকে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিষয়এও যে সাহায্য পাওয়া যাবে, বলাই বাহুল্য।