কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে জন্ম-মৃত্যুর সাক্ষী থাকলেন এক ‘মা’। বুধবার সকালে টানা বৃষ্টিতে বেঙে পড়লো ১০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটের একটি পুরোন বাড়ি। ভেঙে পড়া বাড়ির মধ্যে চাপা পড়ে মারা গেল যে-মায়ের এক কন্যাসন্তান, সেই মা ( Mother ) -ই আবার কয়েকঘণ্টা পরে জন্ম দিলেন আর এক কন্যাসন্তানের! যে হারিয়ে গেল তার জন্যে তিনি ( Mother ) এখন কাঁদবেন, নাকি এই ভরা বিপর্যয়ের মাঝখানে কোল আলো করে যে এল তাকে নিয়ে খুশিতে ফেটে পড়বেন?
আরও পড়ুন – এখানে মানবী মায়ের চোখের জল মোছাতে চিন্ময়ী দেবী মায়ের আরাধনা শুরু হয়
ওই বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাড়িটিতে বাসিন্দা ছিলেন মূলত ৪ জন– সুশান্ত ঘোড়ুই, প্রিয়াঙ্কা ঘোড়ুই; তাঁদের একমাত্র মেয়ে বছরদুয়েকের (মতান্তরে বছরতিনেকের) সৃজিতা ঘোড়ুই এবং সৃজিতার দিদা বৃদ্ধা চম্পা গড়াই। বাড়ি ভেঙে পড়লে সকলেই আটকে পড়েন। পরে সকলকে উদ্ধার করা হয়। ছোট্ট সৃজিতা এবং তার দিদা চম্পা গড়াই মারা যান। সুশান্ত-প্রিয়াঙ্কাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সুশান্তকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রিয়াঙ্কা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁর ‘অ্যাডভান্সড স্টেজ’ চলছিল। তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ, বুধবারই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন। অর্থাৎ, সকালে যিনি এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় তাঁর বড় মেয়েকে হারালেন, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তিনিই তাঁর আর এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন!
আপাতত, জানা যাচ্ছে, ভেঙে পড়া এই বাড়িটির মতোই কলকাতা শহরে অনেকগুলিই বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। সংখ্যাটা মোটামুটি আড়াই হাজার। এই বাড়িগুলিতে এখনও বহু মানুষ বসবাস করেন। এগুলির অধিকাংশ বাড়িই নানা ধরনের মামলা-মোকদ্দমায় ফেঁসে আছে। ফলে বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরানো যাচ্ছে না। এর অর্থ, আগামি দিনেও এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে জন্ম-মৃত্যুর সাক্ষী থাকলেন এক ‘মা’। বুধবার সকালে টানা বৃষ্টিতে বেঙে পড়লো ১০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটের একটি পুরোন বাড়ি। ভেঙে পড়া বাড়ির মধ্যে চাপা পড়ে মারা গেল যে-মায়ের এক কন্যাসন্তান, সেই মা ( Mother ) -ই আবার কয়েকঘণ্টা পরে জন্ম দিলেন আর এক কন্যাসন্তানের! যে হারিয়ে গেল তার জন্যে তিনি ( Mother ) এখন কাঁদবেন, নাকি এই ভরা বিপর্যয়ের মাঝখানে কোল আলো করে যে এল তাকে নিয়ে খুশিতে ফেটে পড়বেন?