গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন? গৃহবন্দী করা হল অখিলেশ যাদবকে। আজ লখিমপুৰ যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশ যাদবের। তার আগেই তাকে গৃহবন্দী করা হয় বলে সূত্রের খবর। বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয় অখিলেশ যাদবের বাড়ির সামনে। গৃহবন্দী হওয়ার পরে নিজের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেন তিনি।
ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছেন, “ব্রিটিশদের থেকেও বেশি জুলুম করা হয়েছে কৃষকদের উপরে। কৃষকদের উপর এত অন্যায় এবং জুলুম ব্রিটিশরাও করেনি যতটা বিজেপি সরকার করছে। বিজেপি সরকার সম্পূর্ণভাবে বিফল হয়েছে। সবার আগে গৃহ প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। যে কৃষকদের প্রাণ গেছে তাদের ২ কোটি টাকা সাহায্য করতে হবে এবং পরিবারের কাউকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। যিনি গাড়ি চালিয়েছেন তার এখনই ৩০২ ধারায় জেল হওয়া উচিত।
লখিমপুরের ঘটনায় অখিলেশ যাদব ধর্নায় বসার পরে উত্তেজিত জনতা তার বাড়ির সামনেই পুলিশের জিপে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তর প্রদেশ পুলিস রবিবারই সিদ্ধান্ত নেয় লখিমপুরে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এবং সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আর ও পড়ুন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করলো পুলিশ
তার পরেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন নেতার বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করে এবং কার্যত তাদেরকে গৃহবন্দী করা হয় বলে তাদের অভিযোগ। সোমবার সকালে অখিলেশ যাদব লখিমপুরের উদেশ্যে রওনা হওয়ার সময়ে বাড়ির সামনেই তাকে আটকে দেওয়া হয়। রাস্তায় ব্যারিকেড টেনে তার গাড়ি আটকে পুলিস, তারপরেই রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিস। অখিলেশ যাদবের সঙ্গে পুলিস আধিকারিকদের বৈঠক হলেও তিনি ধর্ণা থেকে উঠতে অস্বীকার করেন। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় অখিলেশ যাদবকে।
উল্লেখ্য, লখিমপুর খিরিতে হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র এবং তাঁর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে চাপা পড়ে ২ কৃষকের মৃত্যু ও ২ কৃষককে গুলি করে মারার অভিযোগে তোলপাড় হয় উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খিরি। ওই ঘটনার পর সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৪ কৃষক ও আরও ৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে। লখিমপুর খিরিতে সংঘর্ষের মধ্যে রবিবার অন্তত আট জন নিহত হওয়াক প্রতিবাদে সোমবার শত শত কৃষক জেলা কালেক্টরেট এবং সারা দেশে প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ করবে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) জাতীয় সভাপতি নরেশ টিকাইত গভীর রাতে মুজফ্ফরনগরের সিসৌলি গ্রামে একটি পঞ্চায়েত আহ্বান করেন, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সোমবার জেলা কালেক্টরেটে একটি বিক্ষোভ করবে কৃষকরা। যদিও ঘটনার পর থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। কৃষক নেতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা সবাই লখিমপুর খিরিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন? গৃহবন্দী করা হল অখিলেশ যাদবকে। আজ লখিমপুৰ যাওয়ার কথা ছিল অখিলেশ যাদবের। তার আগেই তাকে গৃহবন্দী করা হয় বলে সূত্রের খবর। বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয় অখিলেশ যাদবের বাড়ির সামনে। গৃহবন্দী হওয়ার পরে নিজের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেন তিনি। ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছেন, “ব্রিটিশদের থেকেও বেশি জুলুম করা হয়েছে কৃষকদের উপরে। কৃষকদের উপর এত অন্যায় এবং জুলুম ব্রিটিশরাও করেনি যতটা বিজেপি সরকার করছে। বিজেপি সরকার সম্পূর্ণভাবে বিফল হয়েছে। সবার আগে গৃহ প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। যে কৃষকদের প্রাণ গেছে তাদের ২ কোটি টাকা সাহায্য করতে হবে এবং পরিবারের কাউকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। যিনি গাড়ি চালিয়েছেন তার এখনই ৩০২ ধারায় জেল হওয়া উচিত।
লখিমপুরের ঘটনায় অখিলেশ যাদব ধর্নায় বসার পরে উত্তেজিত জনতা তার বাড়ির সামনেই পুলিশের জিপে আগুন ধরিয়ে দেয়। উত্তর প্রদেশ পুলিস রবিবারই সিদ্ধান্ত নেয় লখিমপুরে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এবং সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।