টাকির ইছামতী নদীতে বিসর্জনে এবার রাশ টানলো প্রশাসন। দুর্গাপূজোর দশমীতে বিসর্জন উপলক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার টাকিতে দর্শকদের বরাবরই ভীড় জমে যায়। তবে এবারে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে টাকিতে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিন দর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর দিন দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৪ টের মধ্যে ইছামতী নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। বিসর্জনের নৌকায় পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ জন উঠতে পারবেন। দশমীর দিন চাইলেই দর্শকরা নৌকা বা ভুটভুটি ভাড়া করে ইছামতীতে নামতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই ইছামতীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিবিজি এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে এক প্রস্থ বৈঠক হয়ে গিয়েছে জেলা
আর ও পড়ুন প্রায় সাত ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ধাক্কা সামলে সচল হলো ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাাপ, ইনষ্টাগ্রাম
প্রশাসন সুত্রের খবর, ওই বৈঠকে করোনা বিধি মেনে বিসর্জন সম্পর্ন কররা ব্যাপারে সহমত পোষণ করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে এবারে টাকির ইছামতীতে দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জনে দর্শক সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, অন্যান্যবারের থেকে এবারে অনেকটাই ছোট করে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে।
টাকি পুরসভার পুর প্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবারে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং সীমান্ত সুরক্ষের কথা ভেবেই টাকির ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জনের আড়ম্বর কমানো হচ্ছে। এদিকে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে টাকিতে গজিয়ে ওঠা হোটেল এবং রেষ্ট্রেন্টের মালিকরা চিন্তায় পড়েছেন। মূলত, তারা সারা বছর অপেক্ষা করে দিন দশমীর দিনের জন্য। ওইদিন তাদের রমরমা ব্যাবসা চলে। মূলত প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে টাকির ইছামতীতে দুই বাংলার মিলন মেলা বসে যায়। গতবার করোনার কারনে ছোট করেই হয়েছিলো এই বিসর্জন। এবারেও সেই পথেই হাটলো প্রশাসন।
মূলত দশমীর দিন দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমা নৌকায় করে টাকির ইছামতী নদীতে নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি নৌকায় শোভা পায় দুই বাংলার জাতীয় প্তারা। আর এই দৃশ্য দেখার লোভে হজার হাজার মানুষ দুড় দূরান্ত থেকে হাজির হন টাকিতে। বিভিন্ন সময়ে ওই দিনে এই মিলন মেলা থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে।ফলে এবারে একদিকে করোনা পরিস্থিতি আর অন্যদিকে সীমান্ত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাশ টানা হলো টাকির বিসর্জনে।