এই আবাসনের মহামিলনের শারদ্যোৎসব যেন সম্প্রীতির এক পীঠস্থান। অজয়নগর সংলগ্ন উদয়নের উৎসর্গ-উৎসব আবাসনে এবারের শারদ্যোৎসব ২৪ বছরে পড়ল। শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। আগামী বছর সুবর্ণ জয়ন্তী। উৎসর্গ-উৎসবে ছোট-মাঝারি মিলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৮৯০।
এই মুহুর্তে বসবাস প্রায় তিন হাজার আবাসিকের। বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ এখানে বাস করেন। প্রত্যেকেরই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই আবাসনের মহামিলনের শারদ্যোৎসব যেন সম্প্রীতির এক পীঠস্থান। এঁদের পুজোর সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিল আইসক্রিমের ঠেলাগাড়ি।
চকোলেট, বাটারস্কচ, ভ্যানিলা থেকে টু-ইন-ওয়ান। করোনার ধাক্কায় সে সব হবে না। তবে কোভিড বিধি মেনে পুজোর আয়োজনে খামতি নেই মোটেই। পুজোর সময় সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তৈরি হয় উৎসবের আবহ। অঞ্জলির সময় কোভিড বিধি মেনে দুরত্বের ওপর বাড়তি সতর্কতার জন্য তৈরি করা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের। মাস্ক ছাড়া পুজো চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। ভ্যাকসিন ছাড়া পুরোহিত, ঢাকি এবং কোনও কর্মকর্তা মণ্ডপে উঠতে পারবেন না। থাকবে যথেষ্ট স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। প্রসাদের ফল কাটা এবং ভোগ রান্নার ক্ষেত্রেও সচেতন থাকবেন পুজোকর্তারা।
সর্বোপরি রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধ এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানালেন আবাসন কমিটির সম্পাদক। সামগ্রিক আয়োজনের বহরও কিছুটা ছোট। তবে মাতৃবন্দনায় যেন কোনও খামতি না থাকে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আলোর মালায় সজানো হবে গোটা আবাসন। বাজবে মৃদু স্বরে সঙ্গীত।
আর ও পড়ুন পুজোর আগেই বাংলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
যাতে ফ্ল্যাটে বসেই পুজোর আমেজে বিভোর থাকতে পারেন আবাসিকরা। তবে প্রতি বছর অফুরন্ত আইসক্রিম থাকে। আইসক্রিমের কোন হাতে বাচ্চাদের ছোটাছুটি লেগে রয়েছে। দুর্গাপুজোর তিনদিন ধরে দুপুরে একসঙ্গে আবাসিকদের খাওয়াদাওয়া। নাচ,গান, আবৃত্তি, নাটকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গত চব্বিশ বছর ধরে এই নির্মল আনন্দের স্মৃতি আঁকড়ে কোভিড বিধি মেনে ইস্টার্ন বাইপাসে অজয়নগর সংলগ্ন উদয়নের উৎসর্গ-উৎসব আবাসনের এবারের শারদ্যোৎসবের আয়োজন সেরে ফেলছেন আবাসিকরা।
উল্লেখ্য,এই আবাসনের মহামিলনের শারদ্যোৎসব যেন সম্প্রীতির এক পীঠস্থান। অজয়নগর সংলগ্ন উদয়নের উৎসর্গ-উৎসব আবাসনে এবারের শারদ্যোৎসব ২৪ বছরে পড়ল। শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। আগামী বছর সুবর্ণ জয়ন্তী।
উৎসর্গ-উৎসবে ছোট-মাঝারি মিলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৮৯০। এই মুহুর্তে বসবাস প্রায় তিন হাজার আবাসিকের। বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ এখানে বাস করেন। প্রত্যেকেরই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই আবাসনের মহামিলনের শারদ্যোৎসব যেন সম্প্রীতির এক পীঠস্থান। এঁদের পুজোর সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিল আইসক্রিমের ঠেলাগাড়ি।