পুজোয় গড়িয়াহাটের ফুটপাথ থেকে শপিং করলেন ইন্দ্রাণী হালদার! ইন্দ্রাণীকে দেখে ভিড় জমল ভক্তদের। উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছেন সকলে। প্রায় এক বছরের অপেক্ষার পর আসে এই দুর্গাপুজোর দিনগুলি। আর পুজো মানেই, খাওয়া -দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, ঠাকুর দেখা, আড্ডা। সেই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল শপিং। বছরভর কেনাকাটা করলেও, পুজোর শপিং একটু বেশিই স্পেশাল। তবে পুজোর আগে শ্যুটিংয়ের চাপ। অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। যদিও এসবের মাঝে পুজোর আমেজটাই আলাদা। চারিদিকে ঝলমলে আলো, সাজো সাজো রব, শপিংয়ের তাড়াহুড়ো সকলেরই থাকে। হাজার ব্যস্ততার মাঝে শপিং করাটা প্রয়োজনীয়।
তাই ভেবেই অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের শ্যুটের প্যাক আপ হতেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। সটান গিয়ে গড়িয়াহাট চত্বরে বাকি আর পাঁচজন মহিলার মতো হাজির হয়েছিলেন তিনি। শ্যুটের মাঝেও পুজোর শপিংয়ে তাঁকে সারতেই হবে। মুখে মাস্ক পরা থাকলেও প্রিয় ‘শ্রীময়ী’কে চিনতে ভুল হয়নি অনুরাগীদের। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারকে ঘিরে ভিড় জমে গড়িয়াহাট চত্বরে। অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা সেরেই ভিড় ঠেলে শপিং সারেন নায়িকা।ফুটপাতের শাড়ি বিক্রেতাদের হাঁকডাক শুনে বেশ খুঁজে পছন্দন করে তাঁদের থেকে ৫টি শাড়ি কেনেন অভিনেত্রী। এমনকী সেসব শাড়ি পরে ইতিমধ্যে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জন্য শ্যুটিংও সেরেছেন। শাড়িগুলো পুজোতে পরবেন বলে কথা দিয়েছেন।
আর ও পড়ুন দুর্গাপুজো নিয়ে নয়া নির্দেশিকা হাইকোর্টের
বিক্রেতাদের ছবি তুলে পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন টলিউডের প্রথম সারির অন্যতম নায়িকা। বর্তমানে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঝুঁকছেন অনলাইন কিংবা শপিং মলের দিকে। সেখানে কিছুটা আলাদা ছোট পর্দার শ্রীময়ী ওরফে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার । কোনও নামজাদা ব্র্যান্ড না, শাড়ি কিনলেন গড়িয়াহাটের ফুটপাথের দোকান থেকে। কলকাতার শপিংয়ের জন্য পরিচিত জায়গাগুলির মধ্যে সবার আগেই আস গড়িয়াহাট, হাতিবাগান কিংবা এসপ্ল্যানেড। চৈত্র সেল হোক কিংবা পুজো, সবেতেই হিট এই মার্কেটগুলি। তবে তারকারা সেখান থেকে শাড়ি কিনছেন, এই বিষয়টা কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও, সকলের প্রিয় শ্রীময়ী কিন্তু তাই করেছেন।
স্টার জলসা থেকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিয়োতে অভিনেত্রী নিজেই সেই গল্প করেছেন সকলের সঙ্গে। ইন্দ্রাণী বলেন, “একদিন ‘শ্রীময়ী’ -শ্যুটিং হঠাৎ করেই আমার একটু তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেছে, ভাবলাম একটু গড়িয়াহাট যাই। ওখানে গিয়ে হাঁটছি… প্রথমে মাস্ক পরে থাকায় বেশি কেউ চিনতে পারেননি।” তবে “বাসন্তী দেবী কলেজের সামনে অনেক শাড়ির দোকান আছে সেখান দিয়ে হাঁটছি, ঠিক সেই সময় কয়েকজন বিক্রেতা আমায় চিনতে পেরে ‘দিদি দিদি’ করে ডাকল। সকলেই আবদার করছে শাড়ি নেওয়ার জন্য। তাঁরা ভেবেছে আমি শুধু দামী দামী শাড়ি পরি, ওখান থেকে কিনি না। আমি তখন বললাম কে বলেছে? আমি সব রকম শাড়ি কিনি।” ইন্দ্রাণী আরও বললেন, “আমি তাঁদের তখন বললাম ঠিক আছে আমি নেব। কিন্তু ৫ টা শাড়ি কিনব ৫ জনের থেকে। তাই কিনলাম। বিশ্বাস করবেন না, সেই শাড়িগুলোর কালেকশন এত ভাল। আমি ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকেও পরেছি, আবার ব্যক্তিগত জীবনে পুজোর সময়ও পরব। এত আনন্দ হয়েছিল কিনে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”