এক মাসের মধ্য়ে শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের দিনহাটার একটি এলাকা। চলল গুলি। মৃত্যু হল ২ জনের। আহত অনেকেই। রবিবার কোচবিহারের সিতাই বিধানসভার গীতালদহের ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মরাকুঠি এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিধানসভার দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা এতে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে কেউ বা কারা গুলি চালিয়ে দেয়। তাই গুরুতর আহত হন মান্নান হক ও মুজাফফর হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।
দিনহাটা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে গেল চিকিত্সকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। এদের অনেককেই দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোচবিহারে।
উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসে আগে গীতালদহতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেবারও তির ধনুকের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আর ও পড়ুন কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা
জানা গিয়েছে, পঞ্চমীর রাতে দিনহাটা এক ব্লকের সীমান্ত গ্রাম গিতালদহের মরাকুঠি এলাকায় তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃতরা হলেন মান্নান হক ও মোজাফফর হোসেন। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতরা হলেন দুলাল মিয়া, মিন্টু হক, দেলদার হোসেন, ওবায়দুল হক ও জাহাঙ্গীর আলম।
আহতরা সকলেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও শারদীয়া দুর্গা উৎসবের মুখে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে দিনহাটা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে ছুটে যায়। আহত অবস্থায় প্রথমে দুইজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনকে কোচবিহারের স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তীতে আরও পাঁচ জনকে নিয়ে আসা হলে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও কোচবিহারে রেফার করা একজনের মৃত্যু হয়।গুলি চালানো ছাড়াও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে তৃণমূল নেতা কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন জানান। তিনি বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিজিবি প্রার্থীকে জয়ী করতে নানাভাবে চেষ্টা করেছে তারাই বিধায়ককে যারা জিতিয়ে এনেছে তাদের ওপর আক্রমণ শুরু করেছে।
গোটা ঘটনা নেতৃত্ব কে জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, গীতালদহের মরাকুঠি এলাকায় সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়। পাঁচ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।