অস্ত্র হাতে নিয়ে আদিবাসীরা মালদায় পথ আবরোধ করলো, কেন? আফিম চাষের মিথ্যে মামলার অভিযোগে মালদায় অস্ত্রশস্ত্র হাতে আদিবাসীদের পথ আবরোধ। সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আফিম চাষের অভিযোগে দুই আদিবাসীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন তারা।তারই প্রতিবাদে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মালদার গাজোল-এর আলমপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আদিবাসীরা। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন গাজোল থানার পুলিশ।পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে গাজোল এলাকায় আফিম চাষ হয়েছিল।
এরপর এই দুই আদিবাসীর নামে বেআইনী আফিম চাষের অভিযোগ হয়। সেই মতো শনিবার রাতে দুই আদিবাসীকে গ্রেফতার করে গাজোল থানার পুলিশ। এদিকে আদিবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের দুইজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার মালদা গাজোলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তীর-ধনুক ও অস্ত্র হাতে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে গাজোল থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছলে অস্ত্র হাতে বিক্ষোভ শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের ছাড়তে হবে।
আর ও পড়ুন ভাসছে কেরল, মৃত ১৮, নিখোঁজ ১২ জনের বেশী
যদি না ছাড়ে সারা দিন অবরোধ চলতে থাকবে। এই অবরোধের জেরে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ মালদা জেলার কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, ইংরেজবাজার, গাজোল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বেআইনি আফিম চাষ হয়েছিল। যার ফলে অল্প সময়ে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে বহু মানুষ এই আফিম চাষে যুক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় এই আফিম চাষীদের বিরুদ্ধে। এমনকী হুলিয়া জারি করে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যদের সতর্ক করা হয়।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয় যদি কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের এলাকায় আফিম চাষ হয়, সে ক্ষেত্রে দায়ী থাকবেন সেই এলাকার প্রধান, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। এরপর থেকে আফিম চাষ অনেকটাই রোধ করা গিয়েছে দাবি পুলিশের। সেই সময় বেআইনি আফিম চাষের অভিযোগে বহু মামলা করে জেলা পুলিশ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই মত গাজোল আফিম চাষের মামলা ছিল। সেখানে দুই আদিবাসীর নামে অভিযোগ ছিল। সেই মত এদিন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারই প্রতিবাদে আজ অস্ত্রশস্ত্র হাতে আদিবাসীদের পথ আবরোধ।