ব্যাঙ্কে দীর্ঘদিন পরিষেবা না মেলার অভিযোগ, বিক্ষোভ ভাঙ্গচুর। পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত দু-বছর ধরে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগ ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর কালুপুর এলাকার একটি রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি লক্ষীর ভান্ডারের টাকা একাউন্টে জমা পড়েছে কি না, তাও গ্রাহকরা জানতে পারছেন বা পাস বই আপডেট না হওয়ার কারনে।সোমবার মুলত এই ক্ষোভ থেকেই কালুপুরের ঐ রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। প্রায় ২ববছর ধরে সঠিকভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরা এদিন যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বেশ কয়েক ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীরা ব্যাঙ্কের শাটার বন্ধ করে দেয় এবং এটিএম দরজা ভাঙচুর করে।
গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে এসে দীর্ঘ সময় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরও তাদের সঠিকভাবে পরিষেবা দেওয়া হয় না। দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা যে টাকা তাদের ব্যাংক একাউন্টে রাখেন সে বিষয়ে কোনোরূপ কোনো হিসাব পাননা তারা এমনটাই অভিযোগ করছেন। কোন গ্রাহক আবার অভিযোগ করছেন তারা যে পরিমাণ টাকা ব্যাংক একাউন্টে রেখেছিলেন তার থেকে কম টাকা তাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছ, কি কারণে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে এ সমস্ত বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে তারা জানতে চাইলে ব্যাংকের কোন কর্মচারী বা ম্যানেজার তাদেরকে কোনো সদুত্তর দিচ্ছে না। দীর্ঘ দুই বছর ধরে কার্যত গ্রাহকদের একপ্রকার ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি করছেন তারা।
অন্যদিকে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি এই ব্যাংকের গ্রাহকদের। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে তাদের বলা হয়েছে তারা যেন তাদের পাসবই আপডেট করে এবং যাদের টাকা ঢোকেনি তারা পঞ্চায়েতে এসে জানায়। গ্রাহকরা পঞ্চায়েতের কথামতো ব্যাংকে এসে সে বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।
আর ও পড়ুন আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব স্কুল
ক্ষিপ্ত জনতারা বনগাঁর সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের সামনে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কয়েক ঘন্টা যাবৎ এই বিক্ষোভ চলে অবরোধের জেরে কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় যশোর রোডে। পরবর্তী সময় পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃত্ব এসে গ্রাহকদের সাথে কথা বলার পর বিক্ষোভ তুলে নেয় তারা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ব্যাংক ও প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় গতকাল থেকেই তারা সব রকম পরিষেবা পাবে।
ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বলা হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি সেটা নিয়েই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরা। যেহেতু একসঙ্গে একাধিক গ্রাহকরা হাজির হয় ব্যাংক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয় যার জন্য তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।