মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি দখলের বাসনা মানুষ মেনে নেবে না, বললেন সুকান্ত মজুমদার । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানেন না তাই গোয়ায় গিয়ে তার মুখ থেকে নানান রকম উল্টোপাল্টা মন্তব্য বের হচ্ছে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী দিল্লি থেকে সব সময় কেন্দ্র সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হয়ে থাকে কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি আগামী দিনে দিল্লির দাদাগিরি বরদাস্ত করবেন না। এটা আবার কোন কথা। আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে এসে একথা বলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন গোয়ায় গিয়ে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি চালু করবেন সেটা পরের ব্যাপার কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে কত হাজার শ্রমিক শ্রমিকের কাজ করতে তাদের অন্নসংস্থানের জন্য গোয়াতে যায় আগে তাদের খোঁজ নিক মুখ্যমন্ত্রী।
সুকান্ত মজুমদার বলেন এই সমস্ত শ্রমিকরা যারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে গোয়ায় গিয়ে কাজ করছে তাদের আগে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। সুকান্ত বাবু বলেন একজন আসে না এই রাজ্যে গোয়া থেকে কাজ করতে। গোয়াতে একদিনের মজুরি ৭০০ টাকা কমপক্ষে। সেই হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে একজন শ্রমিকের মজুরি কত প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন।
আর ও পড়ুন ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন যে নিজের ঘর সামলাতে পারেন না তিনি অন্যের ঘর সামলাবে ন কি করে। গোয়াতে যেমন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে তেমন পশ্চিমবঙ্গে আগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। তারপর গোয়ার কথা ভাববেন। সুকান্ত বাবু বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতবর্ষের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো কে মানতে চান না। দিল্লি আমাদের রাজধানী। দিল্লিতে রাজধানী নরেন্দ্র মোদির তৈরি করেননি। যারা সংবিধান প্রণেতা তাদের আমল থেকেই দিল্লি ভারতবর্ষের রাজধানী হয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্র সরকার এর সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলা রাজ্যগুলির কর্তব্যের মধ্যে পড়ে অধিকারের মধ্যে পরে। আর যদি দিল্লির নিয়ম কানুন না মানা হয় তাহলে ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একটি অঙ্গরাজ্য না বাংলাদেশের অঙ্গরাজ্য তার কোন পার্থক্য থাকবে না। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যে বাসনা রয়েছে দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করার সেই বাসনা কখনো সাধারণ মানুষরা মেনে নেবে না তাই তার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।
সুকান্ত মজুমদার বলেন বিজেপির যে সমস্ত বিধায়করা পদত্যাগ না করে অন্য দলে যোগদান করছেন তাদের নৈতিকতার দিক থেকে আগে পদত্যাগ করে যাওয়া উচিত ছিল। তেমনভাবেই রায়গঞ্জের বিজেপির বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর ও পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি দখলের বাসনা মানুষ মেনে নেবে না, বললেন সুকান্ত মজুমদার । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানেন না তাই গোয়ায় গিয়ে তার মুখ থেকে নানান রকম উল্টোপাল্টা মন্তব্য বের হচ্ছে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী দিল্লি থেকে সব সময় কেন্দ্র সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হয়ে থাকে কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি আগামী দিনে দিল্লির দাদাগিরি বরদাস্ত করবেন না। এটা আবার কোন কথা। আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে এসে একথা বলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।