কৃষ্ণনগরের এই গ্রামে কালীপুজো হয় বাড়ি বাড়ি। চৈতন্যদেবের মাতুলালয় শক্তি সাধনার গ্রাম হচ্ছে বেলপুকুর। জানা গিয়েছে যে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রপিতামহ রুদ্র রায়ের আমলে রাম চন্দ্র ভট্টাচার্য নামে এক শক্তি সাধক ঢাকার গ্রাম থেকে এখানে বসবাস করতে আসেন। রাজানুগ্রহ ৯০০একর নিষ্কর জমি ও পানতিনি ।
রাজার শর্ত ছিল একটি এখানে যারা বসবাস করবেন তাদেরই শক্তি সাধনা করতে হবে। ।সেই থেকেই বেলপুকুর গ্রামে কালীপুজোর রমরমা।
জানা গিয়েছে বেলপুকুর গ্রামে বেশিরভাগ কালী পুজো হয়ে আসছে বংশানুক্রমে। গ্রামের আদি কালী পুজো হয় আদি কলাতলা যা কিনা পূর্বে গঙ্গার তীরবর্তী স্থানে হত এখনও সেখানেই এই কালী পুজো হয়ে আসছে। এছাড়াও রয়েছে গ্রামের অন্যতম প্রাচীন পুজো সিদ্ধেশ্বরী কালী পুজো। বহু আগে দেবের বিগ্রহ ছিল পাথরের পরেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের আমলে সেটি কৃষ্ণনগরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আর ও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি দখলের বাসনা মানুষ মেনে নেবে না, বললেন সুকান্ত মজুমদার
সাধক রামচন্দ্রের চার পুত্রের উত্তরাধিকারীদের পুজো এই গ্রামের কালীপুজো অন্যতম বড় আকর্ষণ। বড় বাড়ি মেজবানি নয়াবাড়ি এবং ছোট বাড়ি নামে পরিচিত তাদের চারটি পুজো এখনো হয়। বলা হয় না বাড়িতে আছে রামচন্দ্রের সময়ের প্রাচীন মহাসঙ্ঘের জপমালা। তবে পুজো ঘিরে গ্রামের মানুষের আবেগ আজও অপরিবর্তিত এই কালীপূজোয় তারা মজা আনন্দ উপভোগ করে থাকেন।
নবদ্বীপের নয়টি দ্বীপের মধ্যে সীমান্ত দ্বীপ হচ্ছে এই বেলপুকুর গ্রামটি। নবদ্দীপ মন্ডল পরিক্রমা অংশ হিসাবে এই গ্রামের পরিচিতি এখন জেলা জুড়ে রয়েছে। এখানে লক্ষ্মীপুজোর মত বাড়ি বাড়ি কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিশুদ্ধ তন্ত্র মতে মাতৃ সাধনা বেলপুকুর এর কয়েক বছরের ট্র্যাডিশন হয়ে আসছে। আরও জানা গিয়েছে যে এই গ্রামে রয়েছে বাইশটি বারোয়ারী কালী পূজো এবং দুই শতাধিক বাড়িতে লক্ষ্মীপূজো কালীপূজো অনুষ্ঠিত হয়। রয়েছে উল্লেখযোগ্য পুজো মাতা সিদ্ধেশ্বরী পুজো বেলপুকুর সর্দার পাড়ার পুজো বেলপুকুর ব্যান্ড সমিতির পুজো মহেশ্বরী পুজো সর্কি পাড়ার পুজো, পলতা বারোয়ারি পুজো সহ একাধিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের এই গ্রামে কালীপুজো হয় বাড়ি বাড়ি। চৈতন্যদেবের মাতুলালয় শক্তি সাধনার গ্রাম হচ্ছে বেলপুকুর। জানা গিয়েছে যে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রপিতামহ রুদ্র রায়ের আমলে রাম চন্দ্র ভট্টাচার্য নামে এক শক্তি সাধক ঢাকার গ্রাম থেকে এখানে বসবাস করতে আসেন। রাজানুগ্রহ ৯০০একর নিষ্কর জমি ও পানতিনি । রাজার শর্ত ছিল একটি এখানে যারা বসবাস করবেন তাদেরই শক্তি সাধনা করতে হবে। ।সেই থেকেই বেলপুকুর গ্রামে কালীপুজোর রমরমা।