শান্তিপুরে ফাঁকা বিজেপির ক্যাম্প অফিস, ভীড়ে ভর্তি তৃণমূল ক্যাম্প অফিস। শনিবার শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের শান্তিপুর পৌরসভার সহ গ্রামীণ এলাকায় বিরোধীদের সেরকম কোনো শিবির চোখে পড়েনি। বিজেপির শিবির ছিল জনশূন্য। এমনকি তারা কোনো পোলিং এজেন্ট দিতে পারিনি বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। অথচ কোনো রকম বাধা বিঘ্ন ঘটে নি শান্তিপূর উপ নির্বাচনে।
ভোটাররা বলেছেন গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি নেতা সাংসদ জগন্নাথ সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাওতা দিয়ে ভোটে জিতে ছিলেন। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির ফলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং সাংসদ পদ আঁকড়ে রেখে দেন। তাই এবারের ভোটের মানুষ আর সেই ভুল করতে রাজি নয় তাই দলবদ্ধভাবে জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন সেই ভোট পড়েছে এবারের উপনির্বাচনে। জিততে চলেছে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে শান্তিপুর। ইতিমধ্যে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল স্টেডিয়াম কালনা ব্রিজের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাধাবিঘ্ন ছাড়া নিশ্চিতভাবে তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা এমনটাই এলাকায় আওয়াজ উঠেছে ভোটার দের কন্ঠে।
আর ও পড়ুন রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে চলছে উপ নির্বাচন
শনিবার দেখা গেল সকাল থেকেই গোটা শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে, ভোট দিতে এসে একথা বললেন শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। শান্তিপুর রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দির বিদ্যালয়ের 209 নম্বর বুথে বাবা ও মাকে সাথে নিয়ে ভোট দিতে এলেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। ভোটদানের শেষে তিনি বলেন সকাল থেকেই গোটা শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে।
কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল শান্তিপুরের বেশ কয়েকটি এলাকার বিভিন্ন বুথে তাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই রকম অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নদীয়া জেলার রানাঘাট দক্ষিণ সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর জানিয়েছেন যে ভোটের প্রথম থেকেই আমরা বুঝেছিলাম যে এখানে বিজেপি সহ বিরোধী কোনো প্রার্থীর পক্ষে মানুষ ভোট দিতে ইচ্ছুক নয়। ভোটাররা মা মাটি মানুষের সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিয়ে রেখেছিলেন তাই এদিন কার ভোটদানে সেরকমই দৃশ্য চোখে পড়ল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী এদিন তার মা-বাবাকে সাথে করে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে কখনো চায়ের দোকানে বসে চা খেয়েছেন কখনো কর্মী-সমর্থকদের সাথে হাসি খেলে কথা বলেছেন কখনো বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সাথে কথা বলেছেন কখনো ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে কথা বলেছেন। একদম সাদামাটাভাবে মিশে গিয়েছেন জনতার সাথে। তাই ভোটাররা নিশ্চিত এবারের ভোটে রেকর্ড ভোটে জিততে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজো কিশোর গোস্বামী।