চলে গেলেন দিব্যা ভারতীর বাবা। প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর বাবা ওম প্রকাশ ভারতী মারা গেছেন। গত ৩০ অক্টোবর মারা যান তিনি। ওম প্রকাশ ভারতীর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সাবেক জামাতা, বিশিষ্ট প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। সামাজিক পাতায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন সাজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী ওয়ার্দা খান। ওম প্রকাশ ভারতীর সঙ্গে সাজিদের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘তোমাকে মিস করব, বাবা!’
দিব্যা ভারতীকে বিয়ে করেছিলেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিব্যার মৃত্যুর পর তাঁর মা-বাবার দেখভালের দায়িত্ব নেন সাজিদ। ‘শোলে অউর শবনম’ সিনেমায় কাজের সময় সাজিদের সঙ্গে পরিচয় হয় দিব্যা ভারতীর। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন সাজিদ।
১৯৯২ সালের ১০ মে তাঁরা বিয়ে করেন। ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বারসোবার তুলসি বিল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলার বারান্দা থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পড়ে মারা যান সে সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা দিব্যা ভারতী। তবে দিব্যা ভারতীর মৃত্।যুর পরও তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার। এবংজামাই হিসেবে নিজের যাবতীয় কর্তব্যও পালন করেছেন। ওম প্রকাশ ভারতীর মৃত্যুর খবরে সাজিদও যে ভেঙে পড়েছন সেই কথা জানিয়েছেন ওয়ার্দা খান।
উল্লেখ্য, দিব্যা ভারতী ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে বাণিজ্যিকভাবে সফল হিন্দি এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯০ সালে তেলুগু বব্বিলি রাজা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৯২ সালে বিশ্বআত্মা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ভারতী শোলা অর শবনম (১৯৯২) এবং দিওয়ানা (১৯৯২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করেন, এবং যার জন্যে শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
আর ও পড়ুন সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম বাঁকুড়ার সৌম্যজিত
১৯৯২ এবং ১৯৯৩-এর প্রথমার্ধে তিনি ১৪টি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা আজ পর্যন্ত বলিউডে অভিষেক হিসেবে তার রেকর্ড হয়ে আছে। ভারতীর মাত্র ১৯ বছর বয়সে এপ্রিল ৫, ১৯৯৩ সালে, ভারসোভা, মুম্বই তার ৫ তলা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নিচে পড়ে মৃত্যুবরণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তিনি মূলত ভারসাম্য হারানোর ফলে ব্যালকনি থেকে নিচে পড়ে যান। তবে তার এই আকস্মিক মৃত্যু, দুর্ঘটনাজনিত না হত্যাকাণ্ড তা অস্পষ্ট রয়ে গেছে।