লজ্জা না পেয়ে দল ছেড়ে দিন! তথাগতকে পাল্টা আক্রমণ দিলীপের। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তথাগত রায়ের একাধিক টুইট বারংবার অস্বস্তিতে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরোনর পর থেকেই দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন তথাগত রায়। এবার পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ। ‘লজ্জা লাগলে দল ছাড়ুন’, তথাগতকে ‘বাইরের রাস্তা’ দেখালেন তিনি। এদিন নাম না করেই তাকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘দল ছেড়ে দিন’।
পাশাপাশি এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বিজেপি নেতৃত্ব দের শেষ শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে যে বিতর্কিত কুণা্ল ঘোষ করেন তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান, “পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির যে স্তর নেমেছে, এই ধরনের নেতাদের কারণেই নেমেছে।” এবার পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পাল্টা রাজ্যকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এবার আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য রাজ্য সরকারের সেই রাস্তা দেখা উচিত। রাজ্য সরকারেরও কিছু ত্যাগ করা উচিত। এমনটা তো চলতে পারে না। মানুষের জন্য কাজ করুন, সুযোগ এসেছে এবার।”
শনিবার সল্টলেকে মর্নিং ওয়াকে গিয়ে তথাগত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি দলে থেকে দলেরই ক্ষতি করছেন। কোনওদিনই তিনি দলের জন্য কিছু করেননি। বরং দল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। দল করতে লজ্জা লাগলে দল ছেড়ে চলে যান।” “কতদিন আর লজ্জা পাবেন। দল যাঁদের সবচেয়ে বেশি দিয়েছে। তাঁরাই দলের সলবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।” যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোর্টে বল ঠেলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আর ও পড়ুন এবার বিজেপি ছাড়ছেন জয় ব্যানার্জি, কেন বিজেপি ছাড়ছেন তিনি?
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে তথাগত রায় কোনও দায়িত্বে নেই। শেষ পর্যন্ত উনি কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই ওনাকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে।” সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, কারও কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলে দলের অন্দরে বলা উচিত। বাইরে বলা ঠিক নয়। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তথাগত রায়। তিনি বলেন, “ওঁর বক্তব্যের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন করছি না।”