বৌদির বাড়ির লোকজনের মারে মৃত ননদ, জখম স্বামী। এদিকে, নিখোঁজ ননদের একমাত্র শিশুকন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা থানা সাহাপুর অঞ্চলের নাগেশ্বরপুরে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি চলে যায় বৌদি। আর বৌদিকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েই এই অঘটন। ভাইফোঁটায় বৌদিকে আনতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন ননদ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ননদের ( মিঠু দাস )। ভাইফোঁটার দিন বোন হারা হলেন ভাই রাজু সিংহ। এদিকে, নিখোঁজ ননদের একমাত্র শিশুকন্যাও। বেধড়ক মারধর করা হয় মহিলার স্বামী রাজু সিংহকেও।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাজু। মালদার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত অমৃতের বাসিন্দা রাজু সিংহ, বয়স ৩৬। কিছুদিন আগেই মালদা থানার নাগেশ্বরপুরের নীলিমা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
রাজু সিংহের পরিবারের অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অশান্তির কারণে নীলিমা তার বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন।বিভিন্ন সময়ে রাজু তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও, স্ত্রী ফেরেননি। অভিযোগ, গতকাল ভাইফোঁটার দিন রাজু এবং তাঁর বোন মিঠু দাসকে রাজুর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাড়িতে ডাকে।
আর ও পড়ুন অবাক হলো এবার উত্তরবঙ্গ, কেন জানেন?
বৌদিকে ফিরিয়ে আনতে, রাজুর বোন মিঠু দাস তাঁর একমাত্র চার বছরের শিশু কন্যা এবং দাদাকে নিয়ে গতকাল রাতে হাজির হন বৌদির বাড়ি। অভিযোগ, বৌদি নীলিমা সিংহের বাড়ি পৌঁছানোর পরেই, তাঁদের ওপর চড়াও হয় নীলিমার বাড়ির লোকজন। ঘটনাস্থলেই ননদ মিঠু দাসকে পিটিয়ে খুন করে দেওয়া হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় স্বামী রাজু সিংহকেও।
পরে অপহরণ করা হয় মিঠুর চার বছরের শিশুকন্যাকে। এই মুহূর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী রাজু সিংহ ভর্তি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখনো নিখোঁজ মিঠু দাসের ৪ বছরের শিশু কন্যা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।