গত ৫টি কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কেমন ফল করেছিল ডান-বাম দুই শিবির

গত ৫টি কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কেমন ফল করেছিল ডান-বাম দুই শিবির

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ফল

গত ৫টি কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কেমন ফল করেছিল ডান-বাম দুই শিবির। গত পাঁচটি পুর নিরবাচনে কোন রাজনৈতিক দলের কেমন ফলাফল হয়েছিলো কলকাতা পুর নির্বাচনে। দেখে নিন এক নজরে।

 

২০১৫ সালের কলকাতা পুরভোট
এখনও পর্যন্ত এটাই তিলোত্তমায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ পুরভোট। ২০১৬ সালে ছিল বিধানসভা নির্বাচন। ফলত সেবার পুরভোট ছিল সব দলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিজেপি নিজের শক্তি জানান দিতে শুরু করেছিল। যদিও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড়ের মধ্যেও এরাজ্যে ছিল ঘাসফুলের দখলেই। সেবার বিগত পুরভোটগুলির তুলনায় দারুণ ফল করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের কলকাতা পুরসভার ১১৪টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। সেবার মেয়র হিসাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন মমতা। যদিও পরবর্তী কালে ২০১৮ সালে মেয়র পদে পদত্যাগ করেন শোভন। তার জায়গায় মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম।
একনজরে ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান-
মোট আসন: ১৪৪
তৃণমূলের দখলে: ১১৪
বামফ্রন্টের দখলে: ১৫
বিজেপির দখলে: ৭
কংগ্রেসের দখলে: ৫
অন্যান্য : ৩

 

আর ও পড়ুন    গ্রামে চলছে জুয়া এবং মদের আসর, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা

 

 

২০১০ সালের কলকাতা পুরভোট
এর ঠিক একবছর পরেই ছিল বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে ঐতিহাসিক পালাবদল দেখেছিল বাংলা। তার একবছর আগেই অবশ্য বদলের আভাস মিলেছিল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পরবর্তী  সময়ে কলকাতার পুরভোটে জিতে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার পুরসভার ৯৫টি ওয়ার্ডে উড়েছিল তৃণমূলের পতাকা। প্রথমবার মেয়রের আসনে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
একনজরে ২০১০ সালের পরিসংখ্যান-
মোট আসন: ১৪৪
তৃণমূলের দখলে: ৯৫
বামফ্রন্টের দখলে: ৩২
বিজেপির দখলে: ৩
কংগ্রেসের দখলে: ১০
নির্দল : ১

 

২০০৫ সালের কলকাতা পুরভোট
২০০৪ সালটা তৃণমূলনেত্রীর জন্য ভাল যায়নি। লোকসভা ভোটে সারা রাজ্য থেকে মাত্র ১টি আসন জেতে তৃণমূল। ভবানীপুর থেকে নিজে জিতে কোনওরকমে সংসদে তৃণমূলের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর একবছরের মধ্যে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বামেদের দখলে যায় সেবারের পুরবোর্ড।  এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতেই হবে, সেবার ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল গঠন করেছিলেন সদ্য প্রয়াত  সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সুব্রতবাবুর ঘরওয়াপসি হলেও সেবার পুরভোটে তৃণমূলের যাত্রাভঙ্গ করেছিলেন তিনি। ছোট লালবাড়ি হাতছাড়া হয়েছিল জোড়াফুল শিবিরের। সেবার আবার বিজেপির সঙ্গে জোট করে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন মমতা।  কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র হয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেবার ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ১৪১। এনজরে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান।
একনজরে ২০০৫ সালের পরিসংখ্যান-
মোট আসন: ১৪১
তৃণমূল ও বিজেপি জোটের দখলে: ৪৫
বামফ্রন্টের দখলে: ৭৫
কংগ্রেস ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দলের জোট: ১৯
নির্দল : ৫

২০০০ সালের কলকাতা পুরভোট
২০০০ সালের পুরভোট কোনও দিনই ভুলতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর সেটাই ছিল মমতা নেত্রীর প্রথম সাফল্য। সেই ভোটে বিজেপি-র সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। বাম জোটের থেকে একটা ওয়ার্ডে বেশি জয় পেয়েছিল তৃণমূল-বিজেপি জোট। ত্রিশঙ্কু ফল হলেও কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলের সমর্থন-দলবদলের ফলে  প্রথমবার ভোটে লড়েই পুরবোর্ড গড়ে তৃণমূল। মেয়র হন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
একনজরে ২০০০ সালের পরিসংখ্যান-
মোট আসন: ১৪১
তৃণমূল ও বিজেপি জোটের দখলে: ৬১
বামফ্রন্টের দখলে: ৬০
কংগ্রেস ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দলের জোট: ১৫
নির্দল : ৫

 

১৯৯৫ সালের কলকাতা পুরভোট
তখনও তৃণমূলের জন্ম হয়নি। কংগ্রেস শিবিরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানায় সেবার প্রথম কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভাল ফল করে কংগ্রেস। সোমেন মিত্রর নেতৃত্বে লড়ে সেই ভোটে কংগ্রেস একেবারে পুরবোর্ড গঠনের কাছে চলে  গিয়েছিল। তবে বাম শিবির ৫টি ওয়ার্ড বেশি জিতে বোর্ড নিজেদের দখলেই রাখে।  তবে বোর্ড গঠন না করলেও সেই প্রথম বাম জমানায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে লাল শিবির।  বেহালার মত বাম দুর্গেও হাতের ছাপ পড়ে। ১৯৯০-এর কলকাতা পুরভোটে কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র ৩৬টি ওয়ার্ডে, সেখান থেকে তারা পাঁচ বছর পর ৬৬টি ওযার্ডে জেতে। বামেদের আসন ৯০ থেকে কমে হয়ে ৭০। মেয়র হন প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়।
একনজরে ২০০৫ সালের পরিসংখ্যান-
মোট আসন: ১৪১
বামফ্রন্টের দখলে: ৭০
কংগ্রেসের দখলে: ৬৬
বিজেপি জোটের দখলে: ২
নির্দল : ৩

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top