জাতিসংঘের ১৬ কর্মী ‘আটক’

জাতিসংঘের ১৬ কর্মী ‘আটক’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
কর্মী

জাতিসংঘের ১৬ কর্মী ‘আটক’। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে জাতিসংঘের ১৬ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের মধে ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের অন্তত ১৬ জন কর্মী ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।

 

তিগ্রেই জাতিগোষ্ঠীর মানুষজনকে নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে এমন খবরের মধ্যেই মঙ্গলবার স্টিফেন দুজারিক জাতিসংঘের কর্মীদের আটকে রাখার এ কথা জানালেন। ‘তাদের দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করতে আমরা ইথিওপিয়ার সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি,’ নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন দুজারিক।

 

আর ও পড়ুন  বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস পালিত হয় কেন? জানুন এর গুরুত্ব

 

আটক কর্মীদের জাতিগত পরিচয় বলতে রাজি হননি জাতিসংঘের এই মুখপাত্র। ‘তারা জাতিসংঘের কর্মী, ইথিওপিয়ার নাগরিক। পরিচয়পত্রে তাদের জাতিগত পরিচয় যা-ই লেখা থাকুক না কেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এমনটাই দেখতে চাই আমরা,’ বলেছেন দুজারিক।

 

রোববার ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলেছিল, রাজধানীতে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ তিগ্রেই জাতিগোষ্ঠীর লোকদের নির্বিচারে আটক করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছে তারা। কমিশনের প্রধান ডেনিয়েল বেকেলে মঙ্গলবার  বলেন, আদ্দিস আবাবায় তিগ্রেই জাতিগোষ্ঠীর শত শত লোককে গ্রেপ্তারের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। তবে ইথিওপিয়ার পুলিশ জাতিগত পরিচয় দেখে দেখে গ্রেপ্তারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিদ্রোহী তিগ্রেই বাহিনীর সমর্থকদেরই কেবল ‘টার্গেট’ করা হয়েছে, বলছে তারা। আদ্দিস আবাবার পুলিশপ্রধান ফাসিকা ফান্তা ও ইথিওপিয়া সরকারের মুথপাত্র লেগেসে টুলু জাতিসংঘের কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন। ‘ইথিওপিয়ার নাগরিক ও আইন ভেঙেছে যারা তাদেরই আটক করা হয়েছে,’ বলেছেন লেগেসে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় জাতিসংঘের কর্মীদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে হয়রানি ও আটক ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’, বলেছে তারা।

 

বিদ্রোহী তিগ্রেই পিপলস লিবারেশন ফোর্সের (টিপিএলএফ) রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসার খবরে ইথিওপিয়ার সরকার গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারি করে, যা তাদের আদালতের আদেশ ছাড়াই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্দেহভাজন সদস্য বা সহযোগী হিসেবে যে কাউকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়েছে।

 

সম্প্রতি তাইগ্রের বিদ্রোহীরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমহারা অঞ্চলের দেসি ও কোমবোলচা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বলে জানা গেছে। এই শহর দুটি রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে চারশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top