পাশা উল্টে গেল যোগ-বিয়োগের খেলায় ! জানুন বিস্তারীত। বাংলায় সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে চারটি আসনেই পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির ঘর ভাঙতে শুরু করেছে। বিধানসভাতেও শক্তি হারাচ্ছে তারা। ছ-মাসেই ৭৭ থেকে ৭০ হয়েছে বিজেপি। তার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে রক্তক্ষরণ হয়ে চলেছে পঞ্চায়েত স্তরেও। উপনির্বাচনে হারার পরই বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছে উত্তরবঙ্গে।
হাতছাড়া হয়েছে আস্ত পঞ্চায়েত।বিজেপি বড় ধাক্কা খেল উত্তরবঙ্গে২০১৮ সালে বিজেপি জিতেছিল মালবাজারের চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। নাগরাকাটা ব্লকের এই পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ববিতা কাছুয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। সেই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির পর প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের রন্থি তিরকি।
উল্লেখ্য পঞ্চায়েত ভোটে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল।সাত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতেই সংখ্যালঘু বিজেপিচম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংক্যা ২৫। তার মধ্যে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জেতে ১৬টি আসনে। বাকি ৯টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এরপর বিজেপির সাতজন দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেয়। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিজেপিচালিত বোর্ড কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছে না। সাত বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। আনা হয় অনাস্থা।যোগ-বিয়োগের খেলায় উল্টে গেল পাশা।
আর ও পড়ুন করাচিতে প্রতি লিটার দুধের দাম কত জানেন? শুনলে চমকে যাবেন
পঞ্চায়েত সদস্যের এই যোগ-বিয়োগের খেলায় উল্টে যায় পাশা। তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১৬। আর বিজেপির কমে হয় ৯। এরপরই তৃণমূলের ১৬ সদস্য ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। তার ভোটাভুটি ছিল মঙ্গলবার। এই ভোটাভুটিতে প্রধান পদপ্রার্থী হন তৃমমূলের রন্থি তিরকি ও বিজেপি সাবিনা লাকড়া। শেষপর্যন্ত ১৬ সদস্যের সমর্থনে জয়ী হন রন্থি তিরকি।ভোটাভুটির পর প্রধান ও বিদায়ী প্রধানের বিবৃতি
পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর রন্থি তিরকি বলেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও রং দেখা হবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। বিদায়ী প্রধান ববিতা কাছুয়া বলেন, উন্নয়নের কাজে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিরোধী হিসেবেও সদর্থক ভূমিকা পালন করব আমরা।জেলায় তৃণমূল ফের হারানো শক্তি ফিরে পাচ্ছে
মঙ্গলবার অনাস্থা ভোটে জিতে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত বোর্ড দখল নেওয়ার পর বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল যে ফের হারানো শক্তি ফিরে পাচ্ছে এই পঞ্চায়েত দখল করে তা দাবি করল জেলা নেতৃত্ব।
এবার এই পঞ্চায়েতে উন্নয়নের জোয়ার বইবে বলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভুজেল বলেন, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েকজন দল ছেড়েছে। তাই বোর্ড হারিয়েছিল আমরা। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চলব আমরা।