ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চলল গুলি। কোচবিহারের সিতাইয়ে সাত ভাণ্ডারি সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। গরু পাচার ঠেকাতে এই গুলি চালানো হয় বলে দাবি। আর গুলির আঘাতে এখনও পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃত্যুর তালিকাতে ভারতীয় রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।। কোচবিহার জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিতাইয়ের সাতভাণ্ডারি এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠলো। গুলিতে নিহত দুই । গরু পাচারের সময় গুলি চালানো হয় এবং পাচারকারিদের মারে এক জওয়ান আহত হয়েছেন বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার রাতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। মৃত ভারতীয়ের নাম প্রকাশ বর্মন। তার মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিএসএফের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ বাংলাদেশের দিক থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতী ভারতে গরু পাচারের চেষ্টা করে। জওয়ানরা প্রথমে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেন। ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু বিএসএফের হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করেনি দুষ্কৃতীরা। তাদের আটকাতে প্রাথমিক ভাবে নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
উল্টে দুষ্কৃতীরা বাহিনীর উপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে বিএসএফ জওয়ানার দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য শূন্যে গুলি চালায়। পরে সীমান্ত থেকে দুটি অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা এবং সিতাই থানার পুলিস। যান বিএস এফের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আর ও পড়ুন শ্রাবন্তী দল ছাড়তেই ফের স্বমহিমায় তথাগত
তবে গুলি চালানোর এই ঘটনার নিন্দা করেছেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, “ওই এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পাচার হয়। বি এস এফের অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। জওয়ানরা পায়ে গুলি করতে পারতেন। রবার বুলেট ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে সরাসরি গুলি চালানোয়, বিএসএফ) ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।”
রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির সীমানা বৃদ্ধি, সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোর সুরক্ষা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে শুক্রবারই বৈঠকে করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নজরদারি টাওয়ার বসানোর জন্য বিএসএফ জমি চেয়েছে। সেই নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যসচিব।
উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার রাতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। মৃত ভারতীয়ের নাম প্রকাশ বর্মন। তার মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিএসএফের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ বাংলাদেশের দিক থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতী ভারতে গরু পাচারের চেষ্টা করে। জওয়ানরা প্রথমে তাঁদের হুঁশিয়ারি দেন। ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু বিএসএফের হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করেনি দুষ্কৃতীরা।
তাদের আটকাতে প্রাথমিক ভাবে নন লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।উল্টে দুষ্কৃতীরা বাহিনীর উপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে বিএসএফ জওয়ানার দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য শূন্যে গুলি চালায়। পরে সীমান্ত থেকে দুটি অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা এবং সিতাই থানার পুলিস। যান বিএস এফের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত।