বর্ধমানে ঢুকে পড়া হাতির পাল খুব ধীরে ধীরে বাঁকুড়ার দিকে এগোচ্ছে

বর্ধমানে ঢুকে পড়া হাতির পাল খুব ধীরে ধীরে বাঁকুড়ার দিকে এগোচ্ছে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ধীরে

বর্ধমানে ঢুকে পড়া হাতির পাল খুব ধীরে ধীরে বাঁকুড়ার দিকে এগোচ্ছে । আজ রাতের মধ্যেই হাতির পালকে দামোদর পার করে বাঁকুড়ার দিকে ফেরত পাঠানো যেতে পারে। তাহলেই আপাতত হাতির পালের সামনে উজিয়ে যাবার প্রবণতা ঠেকানো যেতে পারে।    বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন; হাতির দলটি বর্তমানে দুটি ভাগ হয়ে গেছে। একভাগ একটু সামনে থাকলেও অন্য একটি ভাগের হাতিরা পিছিয়ে আছে। এখন দু ভাগকে এক করার চেষ্টা হচ্ছে।

 

তিনি আরো জানান; বাচ্চা হাতি দলের থাকায় হাতির পাল খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। এই মুহুর্তে হাতির পালের অবস্থান আউশগ্রামের ভাল্কি মাচান এলাকার কাছাকাছি রয়েছে।   বন দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে; একশো দশ জনের হুলা পার্টির সদস্য হাতি তাড়ানোর কাজ করছে।  শনিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হুল্লাপার্টি মশাল নিয়ে হাতির দলটিকে প্রতাপপুরের জঙ্গল থেকে গলসির দিকে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে।কিন্তু পারাজের কাছে গিয়ে রেললাইন পার করা যায় নি।

 

ফের শাবক সহ হাতির পাল ফের ফিরে যায় আউশগ্রামের জঙ্গলে।রবিবার দিনে সেখানেই হাতিরদলটি অবস্থান করছে।গতকাল বিকেল থেকে লাগাতার বৃষ্টি চলায় হাতি তাড়ানোর কাজে গতি আনা যাচ্ছে না। তাছাড়া বৃষ্টিতে মশালের বারবার নিভে যাওয়ায় হুলাপার্টির কাজে অসুবিধা হচ্ছে।হুলাপার্টির সদস্যরা বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর বা সোনামুখি থেকে আসা। এরা খুবই দক্ষ বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিক।

 

আর ও  পড়ুন    অসময়ে বৃষ্টি, মাথায় হাত পুরুলিয়া জেলার কৃষকদের

 

বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী আরো জানিয়েছেন ; সরকারি নিয়মেই যাদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে তারা ক্ষতিপূরণ পাবে। প্রথমে দপ্তর নোটিফিকেশন দেবে।তারপর ক্ষতির পরিমাণ ঠিক করা হবে।এরপর নির্দিষ্ট অঙ্ক তুলে দেওয়া হবে।

 

কয়েকদিন আগে আটচল্লিশটি হাতির পাল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসীতে হাজির হয়। এরপর তারা যায় আউশগ্রামে। একজনকে আহত করে হাতির পাল। অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। হাতির দলের অভিমুখ ফিরতি পথে ঘুরিয়ে দেবার পর আবার উল্টোমুখে যাত্রা করে তারা। অবশেষে তাদের ফিরতি রাস্তায় পাঠানোর কাজ চলেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top