মালদা জেলা আর্সেনিক প্রবন জেলা। এই জেলার কালিয়াচক ১ ও ২ নম্বর ব্লক,মানিকচক,রতুয়া,সহ একাধিক ব্লকে এই সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্যা সমাধানে তৎপর জেলা প্রশাসন।তবে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের সমাধানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন,মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, মালদা জেলার জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্র, সহ তৃণমূলের বিধায়করা ও আধিকারিকরা।
আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে জেলার প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। আর্সেনিক মালদা জেলার ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা। এই আর্সেনিক জল পানের ফলে যেমন পেটের রোগ হয়। তেমনি হাত পায়র চার্মাড়ার খয়ে যাওয়া রোগ দেখা দেয়। এক সময়ে মানিকচক,কালিয়াচক,গাজোল,হব্বিপুরসহ একাধক ব্লক আর্সেনিক প্রবন এলাকা বলে পরিচিত ছিল। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় জলের প্ল্যান্ট বসানোর ফলে অনেকটা আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পাচ্ছে।
মালদার সমস্ত ব্লককে আর্সেনিক মুক্ত করতে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিষয় বিস্তর বৈঠক করেন।মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমন বলেন,মালদা জেলায় আর্সেনিক যুক্ত পানীয় জলের একটা সমস্যা রয়েছে। যদিও সেই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে গিয়েছে। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্রুত পানীয় জল পাওয়া নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে, তার সমাধান করতেই এদিন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। জেলায় ১৫০ টি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আর ও পড়ুন দিল্লির বাতাসে বিষের মাত্রা ছাড়িয়েছে, বন্ধ হলো স্কুল
যার মধ্যে কালিয়াচক ১ এবং ২ ব্লকের ১০১ টি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব এলাকায় আর্সেনিকের প্রভাব বেশি রয়েছে।সেখানে পরিস্রুত পানীয় জলের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দ্রুততার সাথে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরজন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য জেলার প্রতিটি স্তরে বাড়ি বাড়িতে যেন মানুষের কাছে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ।
এদিন সমস্ত বিধায়কদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত পানীয় জল জেলার প্রতিটি স্তরে সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।