কাজ করলে পুরস্কার পাবেন, পুর কর্তাদের উদ্দেশ্যে বললেন মমতা । উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুরভোটের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্যে আগে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হবে, তারপর বাকি পুরসভা ভোট নিয়ে ভাববে রাজ্য। সেইসঙ্গে তিনি প্রতিটি পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেন নাগরিক পরিষেবায় কীভাবে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে সমস্ত পুরসভার ভোটে একইসঙ্গে কররা দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের কাছে জানতে চায়, কেন একসঙ্গে সমস্ত পুরসভার ভোট করা হচ্ছে না। তা হলফনামা দিয়ে জানানোর কথা বলে কমিশন বলে, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না।
এই অবস্থায় কলকাতা ও হাওড়া পুরভোট নিয়ে যখন সংশয় দেখা দিয়েছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জানিয়ে দেন, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট আগে হবে। তারপর ভাবা হবে রাজ্যের বাকি পুরসভার ভোট নিয়ে। মূলত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই বাকি পুরসভার ভোট করা হবে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে প্রতিটি পুরসভার প্রশাসকদের একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, নাগরিক পরিষেবা সর্বাগ্রে দিতে হবে। সেখানে কোনও বাহানা শোনা হবে না।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি পুর প্রশসাকদেরচোখ খুলে রাস্তাঘাটে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। ড্রেন পরিষ্কার করার উপযুক্ত সময় এখন। এখন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই কাজ করে ফেললে বর্ষার সময় সমস্যা থাকবে না। সমস্ত খাল দ্রুত সংস্কার করা হবে বলেও তিনি জানান। একইসঙ্গে রাস্তাঘাট সুন্দর রাখার পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর ও পড়ুন দিল্লির বাতাসে বিষের মাত্রা ছাড়িয়েছে, বন্ধ হলো স্কুল
বলেন, রাস্তাঘাট সুন্দর থাকলে সবারই দেখতে ভালো লাগে। প্রত্যেক পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবে। রাস্তায় সমস্যা হলে পূর্ত দফতরকে তা জানাতে হবে। রাস্তাঘাট মেরামত থেকে শুরু করে সৌন্দর্যায়নে নজর দিতে হবে সমস্ত পুরসভাকে। এলাকার রাস্তাঘাট যেন অন্ধকার না থাকে। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধান করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠক থেকে সাফ জানিয়ে দেন, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। এদিন তিনি ফের ঘোষণা করেন, সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করা হবে। ফলে সুন্দরবনের উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হবে। মমতা জানান, সমস্ত গ্রামে ২০২৪ সালের মধ্যে জলের বন্দোবস্ত করা হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ফের শুরু হতে চলেছে বলেও জানান তিনি।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে পুরসভার কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার প্রতিটি পুরবোর্ডের প্রশাসক এবং সদস্যদের দাঁড় করিয়ে করিয়ে কাজের হিসেব নেন তিনি। হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাজ করলে পুরস্কার পাবেন। কাজ না করলে ভেবে দেখতে হবে। বারাকপুর, কামারহাটি, দমদম, বিধাননগর সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রধানদের নাম ধরে ধরে কাজের খতিয়ান নেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পুরসভা নিয়ে অসুবিধা হচ্ছে। আপনারা এলাকা ঘুরে দেখছেন না। এলাকার কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফোন খোলা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, কাজ করলে পুরস্কার পাবেন, পুর কর্তাদের উদ্দেশ্যে বললেন মমতা । উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুরভোটের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্যে আগে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হবে, তারপর বাকি পুরসভা ভোট নিয়ে ভাববে রাজ্য। সেইসঙ্গে তিনি প্রতিটি পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেন নাগরিক পরিষেবায় কীভাবে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে সমস্ত পুরসভার ভোটে একইসঙ্গে কররা দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের কাছে জানতে চায়, কেন একসঙ্গে সমস্ত পুরসভার ভোট করা হচ্ছে না। তা হলফনামা দিয়ে জানানোর কথা বলে কমিশন বলে, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না।