অতিরিক্ত পণের টাকার দাবীতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা দেখানোর অভিযোগ উঠলো স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দীঘি থানার অন্তর্গত কুমড়োপাড়া গ্রামে। নিহতের নাম সঞ্জনা সরদার(২১)। শুক্রবার সকালে সঞ্জনার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়দীঘি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় সঞ্জনার স্বামী ভীম সরদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার জেলা আদালতে তোলা হয়।
বছর তিনেক আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিধাননগর থানার অন্তর্গত বাসন্তী কলোনির বাসিন্দা সঞ্জনার সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে হয় পেশায় দিনমজুর ভীম সরদারের। বিয়েতে সঞ্জনার বাবা তার সাধ্যমত গহনা ও অন্যান্য আসবাবপত্র দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবীতে সঞ্জনার উপর নানারকম অত্যাচার শুরু করে দেয় ভীম ও তার পরিবারের বাকী সদস্যরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় একাধিকবার মিটিং ও হয়। সঞ্জনার পরিবারের অভিযোগ এতো সবকিছুর পর ও বাড়তি টাকার দাবীতে সঞ্জনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এবং বৃহস্পতিবার রাতে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে স্থানীয় মানুষজন ঐ গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে রায়দীঘি থানায় জানালে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। পুলিশের তরফ থেকেই ঐ গৃহবধূর বাপের বাড়িতে বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।