নদীয়ায় মাঝরাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নিহত ১৮ । নদীয়া জেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মাঝরাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! নদিয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়িতে দুর্ঘটনার কবলে শ্মশানযাত্রী বোঝাই একটি লরি। জানা গিয়েছে, হাঁসখালি-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা মারে ওই শ্মশানযাত্রী বোঝাই ওই লরি। সেখানেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মৃতদের মধ্যে ৬ জন মহিলা এবং এক শিশু। যদিও সরকারিভাবে এখনও ১১ জনের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনায় আহত বহু। তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে লরিতে করে নবদ্বীপে মৃতদেহ দাহ করতে যাওয়া হচ্ছিল। রাত দুটো নাগাদ ফুলবাড়ির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কয়েকজন আহতের অবস্থা গুরুতর। সেই পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদীয়ার হাঁসখালি তে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা শ্মশান যাত্রীদের কারীর নিহত অন্তত ১৮। আরো অন্তত কুড়ি জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর 24 পরগনার বাগদা থানার পারমদন ফরেস্ট এলাকার শিবানী মুহুরী নামে এক ষাটোর্ধ্ব মহিলার মৃত্যু হয় শনিবার রাতে। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী, নবদ্বীপ শ্মশান এই দেহ আনা হচ্ছিল দাহ করার জন্য একটি গাড়িতে 40 জন শ্মশান যাত্রী ছিলেন। রাত দুটো নাগাদ নদীয়ার হাঁসখালি ব্লকের ফুলবাড়ি খেলার মাঠের কাছে রাজ্য সড়কে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
আর ও পড়ুন ত্রিপুরা পুরভোটে বেশ কিছু আসনে দ্বিতীয় স্থান দখলে নিলো তৃণমূল
রাজ্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে শ্মশান যাত্রীদের গাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাতে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্মশান যাত্রীদের গাড়ি। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশপাশের গ্রামবাসীরা। তারাই প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর দেওয়া হয় দমকল ,বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ কেটে বার করা হয় মৃতদেহ স্থানীয়দের দাবি অন্তত কুড়ি জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নদীয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১৮ জনের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, সাতজন জন মহিলা তারমধ্যে একটি ছয় বছরের শিশুকন্যাও আছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান কুয়াশার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে এছাড়া গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা গাড়িচালক ঘুমিয়ে পড়তে পারে বলেও অনুমান পুলিশের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় বাগদা এবং নদীয়ার হাঁসখালি দুই জায়গাতেই শোকের ছায়া।