ওঝার কেরামতিতে মৃত্যু হলো সাপে কামড়ানো গৃহবধুর

ওঝার কেরামতিতে মৃত্যু হলো সাপে কামড়ানো গৃহবধুর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ওঝার

ওঝার কেরামতিতে মৃত্যু হলো সাপে কামড়ানো গৃহবধুর । ফের  চরম অসচেতনতার স্বাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর।হেমতাবাদ ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবনাথপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৪-র গৃহবধু নিবাসী দেবনাথ রান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে খড়ি সংগ্রহ করতে গেলে সাপ ছোবল দেয় তাকে।

 

ওই গৃহবধূ ও তার বাড়ির লোকেরা সাপটি যে বিষধর তাও বুঝতে পারেন।কিন্তু তাকে তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে এলাকার এক গুনিনের কাছে নিয়ে যান। ওঝা ঝাড়ফুঁক করেন, কিছু তার তৈরি ওষুধও রোগিনিকে খাওয়ান বলে তার পরিবারের দাবী। আর এতে বেশ খানিকটা সময় পেড়িয়ে যায়।

 

এদিকে ওই গৃহবধূর শারিরীক অবস্থার ক্রমে অবনতি হলে তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবারই মৃত্যুর কাছে হার মানেন ওই গৃহবধু।তবে প্রথমে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া বা হাসপাতালে ভর্তি না করাটা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন মৃতার আত্মীয়রা। কিন্তু তাতে কি লাভ! শুধুমাত্র অজ্ঞানতার আঁধারে নিমগ্ন থাকাতেই সমাজে এখনো এভাবে প্রানের বলি হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

 

এই ব্যাপারে সচেতনতা জরুরী আর সেইসঙ্গে সাপে কামড়ালে তৎক্ষনাৎ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অ্যান্টি ভেনম দিয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা শুরু হলে রোগির প্রান বাঁচানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক মহলও। রায়গঞ্জ মেডিকেলের অধ্যাপক বিদ্যুৎ ব্যানার্জি জানান, এখনো মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে এই ঘটনা তা আবারো স্পষ্ট করছে। সবাইকে বলব যে কোনো সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি মেডিকেল কলেজে সাপে কামড়ানো রোগির বিনামুল্যে চিকিৎসা হয়। সঠিক সময়ে আনলে অ্যান্টি ভেনম দিয়ে রোগির প্রান বাঁচানো সম্ভব হয়।

 

আর ও পড়ুন  এবার ভারতে শনাক্ত হলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’

 

উল্লেখ্য, ওঝার কেরামতিতে মৃত্যু হলো সাপে কামড়ানো গৃহবধুর । ফের  চরম অসচেতনতার স্বাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুর।হেমতাবাদ ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবনাথপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৪-র গৃহবধু নিবাসী দেবনাথ রান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে খড়ি সংগ্রহ করতে গেলে সাপ ছোবল দেয় তাকে।

 

ওই গৃহবধূ ও তার বাড়ির লোকেরা সাপটি যে বিষধর তাও বুঝতে পারেন।কিন্তু তাকে তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে এলাকার এক গুনিনের কাছে নিয়ে যান। ওঝা ঝাড়ফুঁক করেন, কিছু তার তৈরি ওষুধও রোগিনিকে খাওয়ান বলে তার পরিবারের দাবী। আর এতে বেশ খানিকটা সময় পেড়িয়ে যায়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top