পাহাড় মমতার সঙ্গেই থাকবে, জানালেন বিমল গুরুং । জাতীয় স্তরের লড়াইতেও পাহাড়ের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবে। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানে কমিটি গঠনের বিষয়ে কলকাতায় রাজ্য তৃনমূল সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পরই শিলিগুড়ি ফিরে জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রমুখ বিমল গুরুং।
সম্প্রতি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রমুখ বিমল গুরুং ও অন্যতম নেতা রোশন গিরি। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে পাহারমুখী ফেরার পথে তল বিমল গুরুংকে ঘিরে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় স্টেশন চত্বরে। বিমল গুরুঙ বলেন ছয়জনের পাহাড়ের প্রতিনিধিদের একটি টিম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় যায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেসময় উত্তরবঙ্গের মালদা শহরে বেরিয়ে যা হয় তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। সে মতো পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা এবং পাহাড়ি যুবক-যুবতীদের বেকারত্ব দূরীকরণের বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের ভূমিকা যথেষ্টই সদার্থক। অন্যদিকে পাহাড়ের রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানের বিষয়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিমল বলেন পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে কমিটি গঠনের বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে। স্থায়ী সমস্যা সমাধানকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে তৃনমূল সরকার। আগামী দিনে এই বিষয়ে একটি চিঠিও প্রস্তাব আকারে পেশ করা হবে রাজ্য সরকারকে।
আর ও পড়ুন ভুতের উপদ্রব, ফলে ভুত থেকে বাঁচতে অভিনব কৌশল
আগামী দিনে এই সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন কয়েক বছরে তরাই ডুয়ার্স ও পাহাড়ে বাস্তব চিত্র দেখলেই সাফ বোঝা যাবে যে তৃনমূল সরকারের হাতে যে ভূয়সী উন্নতি হয়েছে। বাংলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা ভাবছেন তেমন উল্লেখযোগ্য তেমনি ভারতের জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে দিদি যা ভাবছে তা খুবই ভালো।
এতে দেশের উন্নয়ন উন্নয়ন হবে। জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লীর দরবারের মুখ হিসেবে সমর্থন করছেন তারা। তিনি বলেন জাতীয় স্তরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাহাড়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পূর্ন সমর্থন থাকছে।