বাস থেকে ৪০ কেজি শ্বেত চন্দনকাঠ উদ্ধার, গ্রেফতার এক মহিলা। শিলিগুড়ি-কলকাতা গামী দুরপাল্লার একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ কেজি শ্বেত চন্দনকাঠ উদ্ধার করল আমডাঙ্গা থানার পুলিশ। শ্বেত চন্দনকাঠ পাচারের অভিযোগে এক মহিলাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙ্গা থানার কইপুকুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত মহিলার নাম আমেশ্রী। তার বাড়ি মধ্যপ্রদেশে।উদ্ধার হওয়া শ্বেত চন্দনকাঠের আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা। এদিন ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে জেল হেপাজতের নিরদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন সকালেই গোপন সুত্রে আমডাঙ্গা থানার পুলিশ জানতে পারেন স্বেত চন্দনকাঠের পাচারের বিষয়টি। তৎক্ষনাৎ থানার আই সি অঞ্জন কুমার দত্ত পুলিশ বাহিনী নিয়ে চলে আসেন কইপুকুরে।শুরু হয় পুলিশের নাকা চেকিং। ওই সময় শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল একটি দুরপাল্লার বাস।পুলিশ বাসটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে।বাসের সাইডে থাকে একটা ডিকির ভিতর থেকে কম্বলে জড়ানো জিনিস দেখে আই সির সন্দেহ হয়।পরে সেটা খুলতেই বেরিয়ে আসে শ্বেত চন্দনকাঠ। এরমধ্যেই দু-তিন জন পালানোর চেষ্টা করে।এদের মধ্যে এক মহিলাকে ধরে ফেলে আমডাঙ্গা থানার পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া শ্বেত চন্দনকাঠ সহ ধৃত মহিলাকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে শ্বেত চন্দন পাচারে ধৃত মহিলা আমেশ্রী একজন ক্যারিয়ার মাত্র।তার সাথে আরও কয়েক জন মহিলা ছিলেন।তারা পালিয়ে যায়। আমডাঙ্গা থানার পুলিশের ধারনা ধৃত মহিলা একজন ক্যারিয়ার হিসেবে শ্বেত চন্দনকাঠ গুলো কলকাতায় পৌছে দেওয়ার দায়ীত্বে ছিলেন।কলকাতা পৌছে সেগুলো নিরদেশ অনুযায়ী হাত বদল হত।তার আগেই অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায়।
আর ও পড়ুন বিপিন রাওয়াতের দেহ শায়িত মর্গে, আজ শেষ শ্রদ্ধা
এই বিষয়ে আমডাঙ্গা থানার আই সি অঞ্জন কুমার দত্ত বলেন ধৃতকে জেরা করে জানা গেছে ডালখোলা থেকে শ্বেত চন্দনকাঠ গুলো তোলা হয়েছিল।কলকাতায় পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল বানজারা কয়েক জন মহিলার।এদের মধ্যে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকি কয়েক জন পালিয়ে গেছে।উদ্ধাত হওয়া শ্বেত চন্দনকাঠের আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।