মালদায় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। মালদার ইংরেবাজারের যদুপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। অনাস্থার জন্য রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে দায়ী করলেন তৃণমূল প্রধান। অভিযোগ অস্বীকার কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানের।
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইংরেজ বাজারের যদুপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে 13 টি আসনের মধ্যে 9 টি আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস, তিনটি আসন পায় বিজেপি এবং একজন নির্দল প্রার্থী নির্বাচিত হন। নির্দল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দল থেকে আসা সাজ্জাদ আলিকে প্রধান নির্বাচিত করা হয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপির দুই সদস্যকে নিয়ে অনাস্থা ডাকেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। গতকাল সেই অনাস্থার তলবি সভা ছিল। বিজেপির একজন সদস্যের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় 12 জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতে। ভোটাভুটিতে 6 জন করে সদস্য প্রদানের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট দেন। ফলে টসের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়। টসে প্রধান সাজ্জাদ আলী জয়লাভ করেন। ফলে তিনি প্রধান পদে বহাল থাকেন।
জয়লাভের পর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।তিনি বলেন, তার নির্দেশেই এই অনাস্থা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্র করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।অনাস্থা কারী পঞ্চায়েত সদস্য নুর ইসলাম বলেন, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয়েছিল।তিনি টসে জয়লাভ করেছেন।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, তিনি একজন আইনজীবী ওই পঞ্চায়েতর একজন সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছিল সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি সেই কাগজপত্র দিতে তিনি ওই পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন। এমনকি সাজ্জাদ আলী কে দলীয় সদস্য মানতে নারাজ কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দলের একাংশ কে দায়ী করেন তিনি। যদিও এই পুরো বিষয়ে দলীয় প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
আর ও পড়ুন নতুন মোবাইল কেনা নিয়ে গন্ডগোল, স্ত্রীর মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী
ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে লিড পেয়েছিল। তারপরও কেন প্রাক্তন মন্ত্রী ওই প্রধানের বিরোধিতা করছেন তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে জেলা নেতৃত্ব তাদের পাশে রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গোষ্ঠী কোন্দল এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এতদিন ওই এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। তা অব্যাহত থাকলে আর ওই এলাকার কোন উন্নয়নই হবে না।
উল্লেখ্য, মালদায় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। মালদার ইংরেবাজারের যদুপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। অনাস্থার জন্য রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে দায়ী করলেন তৃণমূল প্রধান। অভিযোগ অস্বীকার কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর।
ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানের। 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইংরেজ বাজারের যদুপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে 13 টি আসনের মধ্যে 9 টি আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস, তিনটি আসন পায় বিজেপি এবং একজন নির্দল প্রার্থী নির্বাচিত হন। নির্দল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দল থেকে আসা সাজ্জাদ আলিকে প্রধান নির্বাচিত করা হয়।