গভীর রাতে ইডির অফিস ছাড়লেন ঐশ্বর্য রাই ,কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন নায়িকা?

গভীর রাতে ইডির অফিস ছাড়লেন ঐশ্বর্য রাই ,কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন নায়িকা?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ঐশ্বর্য

গভীর রাতে ইডির অফিস ছাড়লেন ঐশ্বর্য রাই ,কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন নায়িকা? সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) অফিসে তলব করা হয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি অফিসে ডাকা হয়েছিল, যেখানে বিকেলে অভিনেত্রী পৌঁছেছিলেন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরা করার পর ঐশ্বর্য রাই গভীর রাতে ইডি অফিস ছেড়েছেন। সেই সময় পাপারাৎজিদের সামনে দিয়ে গাড়িতে ওঠেন অভিনেত্রী। তখন তার ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

 

ঐশ্বর্যকে কালো ওভারকোট, কালো চশমা এবং একটি মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। পানামা পেপারস ফাঁস মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতীতে দুবার তলব করা হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। দুইবার নোটিশ স্থগিত করার অনুরোধ করার পরে, অবশেষে ঐশ্বর্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছান ইডি-র দফতরে। সম্প্রতি এই মামলায় অভিষেক বচ্চনকেও তলব করেছিল ইডি। সোমবার দিল্লির লোকনায়ক ভবনে ইডি-র (ED)অফিসে হাজির হন নায়িকা। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে।

 

সূত্রের খবর, এদিন ইডির বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে ঐশ্বর্যকে। প্রথমত তাঁকে জিগেস করা হয়, কীভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হল নায়িকার? নায়িকার পাশাপাশি তাঁর বাবা মাও এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। তাই ঐশ্বর্যকে জিগেস করা হয়, আপনার পরিবার কীভাবে যুক্ত হল এই জালিয়াতির সঙ্গে? ২০০৫ সালের জুন মাসে কেন শেয়ারহোল্ডার হয়েছিলেন ঐশ্বর্য? বিগত ১৫ বছরের বিদেশি পেমেন্টের সমস্ত রেকর্ড এদিন ইডির হাতে তুলে দেন ‘বচ্চন বহু’। আগামিদিনে ফের তাঁকে তলব করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও অবধি কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ইডি।

 

আর ও পড়ুন    রাজ্যের ১০ জেলায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা

 

প্রসঙ্গত, অভিষেক বচ্চনও মাসখানেক আগে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জড়িয়েছেন। এক মাস আগে, অভিষেক বচ্চনও ইডি অফিসে পৌঁছেছিলেন। ইডি আধিকারিকদের কাছে কিছু নথিও হস্তান্তর করেছে। ইডি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই নাকি অমিতাভ বচ্চনকেও এই মামলায় ইডি নোটিস দিতে চলেছে তারা। ২০১৬ সালে, ব্রিটেনের পানামার একটি আইন সংস্থা ১১.৫ কোটি কর ফাঁকি দেওয়ার নথি ফাঁস হয়েছিল। এতে সারা বিশ্বের বড় বড় নেতা, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিত্বদের নাম প্রকাশ করা হয়।

 

ভারতের প্রায় ৫ শতাধিক জনের নাম এখনও পর্যন্ত গিয়েছে। এতে বচ্চন পরিবারের নামও রয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অমিতাভ বচ্চনকে ৪টি কোম্পানির পরিচালক করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি ছিল বাহামাসে, আর একটি ছিল ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে। ১৯৯৩-এ এগুলো তৈরি করা হয়। এসব কোম্পানির মূলধন ছিল ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার, কিন্তু এসব কোম্পানি ওই জাহাজগুলোর ব্যবসা করে আসছে, যার মূল্য ছিল কোটি টাকা। ঐশ্বর্য রাইকে প্রথমে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়। পরে তাঁকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ঘোষণা করা হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top