পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং। জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে মাস্টার স্ট্রোক তৃণমূলের। প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যানের যোগদান রাজনৈতিক মহলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কার্শিয়াঙের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মাও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে কলকাতায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘১৬৪ দিন আগে আমি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করি। এই সময় কোনও দলে যোগ দিইনি। মমতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। মমতাকে আমি সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে দেখতে চাই। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। জাতীয় দলে যোগ দিয়ে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করব।’
সম্প্রতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিনয় তামাং দেখা করেছিলেন। এরপরই নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত মেলে। বিনয় তখন বলেছিলেন পাহাড়ে এখন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা একটাই, নেতা গুরুং। দু’জনে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তাও দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কয়েকটি নতুন রাজ্য তৈরির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বিজেপিকে বেঁধেন।
আরও পড়ুন বড়দিন উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দার্জিলিংয়ে
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনীত থাপা এবং বিমল গুরুং-কেও তৃণমূলে যোগ দিতে বলব। রাজনৈতিক মহলের মত, সামনেই জিটিএ নির্বাচন। বিমল গুরুং শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ। আর তাই তার সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকলে পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারাতেন বিনয় তামাং। আর সেই কারণেই এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন যোগদান করে বিনয় তামাং বলেন, ‘আমাদের মূল বিরোধী বিজেপি এবং তার শরিকরা। বারবার তারা আমাদের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের ললিপপ দেখিয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের দরকার নেই। দরকার পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়ন। আমরা বুঝেছি তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেই আমাদের উন্নয়ন সম্ভব।
উল্লেখ্য, পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং। জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ে মাস্টার স্ট্রোক তৃণমূলের। প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যানের যোগদান রাজনৈতিক মহলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কার্শিয়াঙের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মাও এদিন তৃণমূলে যোগদান করেছেন।রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে কলকাতায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘১৬৪ দিন আগে আমি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করি। এই সময় কোনও দলে যোগ দিইনি। মমতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। মমতাকে আমি সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে দেখতে চাই। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। জাতীয় দলে যোগ দিয়ে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করব।’