২০ জন করোনা আক্রান্ত শিক্ষকদের পাশে সবুজ ভলেন্টিয়ার। লাল ভলেন্টিয়ার এর পাল্টা করোন মোকাবেলায় পথে সবুজ ভলেন্টিয়ার। রাজ্য তৃণমূল কর্মীরা করোনা মোকাবেলায় পথে নামলেন, আক্রান্ত অসুস্থ রোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে খাবার, ওষুধ, অক্সিজেন, অক্সিমিটার। কখনো পথে করোনা সচেতনতায় বার্তা দিচ্ছেন।তারা এবার স্কুলে স্কুলে স্যানিটাইজেশন শুরু, সবুজ ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা। উদ্যোগ নিল বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসী ব্যানার্জি, বসিরহাট মহকুমা গ্রীন ভলেন্টিয়ার এর সভাপতি শংকর সাহা সবুজ হালদার সহ, ভলেন্টিয়ার এর সদস্যরা।
সৈকত দাস ও নিলয় সরকার জানান, ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমা শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশন রয়েছে গ্রীন ভলান্টিয়াররা যেভাবে রাস্তায় নেমেছে তাতে আমরা অভিভূত এ এবার পথে নামল যেভাবে করোনা তৃতীয় ঢেউ সংক্রমণ যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দ্বিগুণ হচ্ছে, এবার পথে তৃণমূলের সদস্যরা। এদিন বসিরহাট হাই স্কুল, সাইপালা প্রাইমারি স্কুল, হরিমোহন দালাল গার্লস হাই স্কুল, দমকল বিভাগ কে সঙ্গে নিয়ে স্যানিটাইজেশন শুরু করলেন ।
আরও পড়ুন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে এবার হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু, কী বললেন?
পাশাপাশি করোনা সচেতনতা বার্তা দিলেন। সব মিলিয়ে সবুজ ভলান্টিয়ার যে এবার লাল ভলেন্টিয়ার এর পাল্টা সামাজিক কাজে দায়বদ্ধ হলো সেটা বলা বাহুল্য। যতদিন করোনার তৃতীয় ঢেউ সংক্রমণ থাকবে ততদিন এই কাজটা করে যাবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। একদিকে যেমন বাড়ি বাড়ি করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবার ঔষধ পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্যদিকে কোন ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হলে তার জন্য অক্সিজেন পালস অক্সিমিটার আক্রান্ত রোগীর ঘরের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন। তাদের এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সভাপতি শম্ভূ সাহা বলেন, আমরা বসিরহাট মহাকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন প্রান্তিক জায়গায় গিয়ে একদিকে স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য খাবার ওষুধ পৌছে দিচ্ছি। এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডার তাদের দিয়ে আসছি। আমাদের সদস্যরা দিবারাত্র এই কাজ করে চলেছে। যতদিন করোনা থেকে মুক্তি না পাবো ততদিন এই কাজ করে যাব ।