করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে দৈনিক দেড় লক্ষের গন্ডি পার হলো দেশে । দেশে আরও বাড়ল সংক্রমণ! দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন। এই পরিসংখ্যান বলছে শনিবারের থেকে ১২ শতাংশ বেশি। এদিন ১০ শতাংশ পেরিয়ে গেল পজিটিভিটি রেট। বেড়ে হল ১০.২১ শতাংশ। যে হারে দেশে পজিটিভিটি রেট বাড়ছে উদ্বেগ ততই বাড়ছে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০ হাজার ৮৬৩ জন।
এদিন দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৫ লক্ষ। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১। এদিকে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৬২৩। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও যে হারে করোনা ছড়াচ্ছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণই এর প্রধান কারণ। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ। দিল্লিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত ২০ হাজার ১৮১ জন। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন।
এদিকে রাজ্যে দাপট বাড়ছে করোনার।প্রতিনিয়তই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় দৈনিক করোনা আক্রান্ত ১৯ হাজার ছুঁইছুঁই। কিন্তু এরই মধ্যে বাড়ছে ওমিক্রন উদ্বেগ। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল তার ৭১.৩ শতাংশই ওমিক্রন, ডেল্টা মাত্র ৩.৭ শতাংশ। এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ছাড় পাচ্ছেন না ডবল ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও।
আর ও পড়ুন বিজেপিতে বিদ্রোহ দেখিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শঙ্কুদেব পণ্ডা
পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮১ শতাংশ ওমিক্রন আক্রান্তের কোভিড ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়া ছিল। অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। রাজ্যে যত শিশু আক্রান্ত হয়েছে তাদের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৩ হাজার ৬২৩ জনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এই রাজ্যে এখনও সেই সংখ্যাটা ২৭। তবে সব পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে না, ফলে ঠিক কতজন ওমিক্রনে আক্রান্ত তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনই স্পষ্ট হচ্ছে না। তবে রাজ্যে জিনোম টেস্টের জন্য ল্যাব বাড়ানো হচ্ছে। তবে প্রতিদিন যে রাজ্য তথা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে তার সিংহভাগই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ফলেই বলে মনে করা হচ্ছে।